কিবু ভিকুনা। ফাইল চিত্র
নেরোকার বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে কোচ কিবু ভিকুনার চিন্তা ক্লান্তি। আজ, বুধবার সকালে ইম্ফল উড়ে যাচ্ছে মোহনবাগান। তার আগের দিন যুবভারতী সংলগ্ন মাঠে অনুশীলনের শেষে কিবু বললেন, ‘‘১৮ দিনে পাঁচটি ম্যাচ খেলতে হচ্ছে আমাদের। যাওয়া-আসার ধকল এবং ক্লান্তি উপেক্ষা করে ম্যাচ জেতাটাই আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ।’’
নতুন বছরে কাশ্মীর থেকে পঞ্জাবে খেলতে যেতে হয়েছে পালতোলা নৌকার সওয়ারিদের। তার পরেই নামতে হয়েছে পর ডার্বিতে। ফের বৃহস্পতিবার পাহাড়ে খেলতে যেতে হচ্ছে পাপা বাবাকর জিওহারাদের। বিমানে-বাসে যাতায়াত, আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে খেলার চাপ ছিল। কিবু অবশ্য ক্লান্তির সমস্যা বলে কোনও অজুহাত যে খাড়া করতে চাইছেন না, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, ‘‘চ্যাম্পিয়ন হতে হলে সমস্ত ধরনের পরিস্থিতির সঙ্গে মানাতে হবে। সেই চেষ্টা চলছে।’’
ডার্বির পরে মঙ্গলবারই প্রথম অনুশীলন শুরু হল মোহনবাগানের। ফ্রান গঞ্জালেস ছাড়া সব ফুটবলারই অনুশীলন করেন। ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের এডমন্ড লালরিন্দিকার সঙ্গে সংঘর্ষে চোট লেগেছিল তাঁর। গোড়ালিতে বরফ বেঁধে বসেছিলেন তিনি। বেইতিয়ার পাশাপাশি ডার্বিতে জয়ের গোল করে নায়ক হয়ে গিয়েছেন পাপা। লা লিগায় লিয়োনেল মেসির বিরুদ্ধে খেলেলেও আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকারের ভক্ত তিনি। বলছিলেন, ‘‘মেসির অনুরাগী আমি। ওর বিরুদ্ধে খেলেছি। খেলার শেষে পিঠে হাত রেখে অভিনন্দন জানিয়েছি। তবে কথা হয়নি। ও থাকে বার্সেলোনায়। আমি থাকতাম সোসিদাদে।’’