সৌজন্য: ইস্টবেঙ্গলের কাশিমের সঙ্গে সবুজ-মেরুনের চুলোভা। নিজস্ব চিত্র
ভারতীয় নৌসেনাকে হারিয়ে ডুরান্ড কাপে টানা তিন ম্যাচ জিতেছে মোহনবাগান। যদিও শনিবার গ্রুপের শেষ ম্যাচের আগেই সেমিফাইনালে চলে গিয়েছিল কিবু ভিকুনার দল। কিন্তু এতেই আত্মতুষ্ট হতে নারাজ মোহনবাগানের স্পেনীয় কোচ।
রবিবার বেলা এগারোটায় দলের অনুশীলন ডেকেছিলেন তিনি। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন সংলগ্ন মাঠে ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলন শেষ হওয়ার পরেই অনুশীলনে নামে মোহনবাগান। শনিবার ৬০ মিনিটের বেশি যাঁরা খেলেছেন, এ দিন অনুশীলনে তাঁদের বিশ্রাম দিয়েছিলেন মোহনবাগান কোচ। বদলে শিল্টন পাল, শঙ্কর রায়, ফ্রান মোরান্তাদের নিয়ে ঘণ্টাখানেক অনুশীলন করান মোহনবাগান কোচ।
কিবুর কোচিং দর্শন অনুযায়ী, প্রথম দল বলে কিছু হয় না। এ দিন তিনি ফের তা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ‘‘প্রথম দল বা দ্বিতীয় দল বলে কিছু নেই আমার কাছে। সেরা এগারো জনকেই রিয়াল কাশ্মীর ম্যাচে মাঠে নামানো হবে। সেই ভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’’
তবে দলের সঙ্গে অনুশীলন করেননি এই মরসুমে মোহনবাগান মাঝমাঠের দুই ফুটবলার জোসেবা বেইতিয়া ও শেখ সাহিল। তাঁরা আলাদা অনুশীলন করেন দলের ফিজিয়োর সঙ্গে। বেইতিয়ার গোড়ালিতে চোট রয়েছে। সাহিলের চোট আবার হ্যামস্ট্রিংয়ে। তবে ক্লাব সূত্রে খবর, সোমবার থেকে দলের সঙ্গেই অনুশীলন করবেন এই দুই ফুটবলার। দু’জনেই আপাতত চোট মুক্ত।
এ দিকে, রবিবার অনুশীলন শুরুর আগে মাঠে তাঁর দলের ফুটবলারদের টানা তিন ম্যাচ জেতার জন্য ধন্যবাদ জানান সবুজ-মেরুন শিবিরের কোচ। ফুটবলারদের তিনি বলেছেন, ডুরান্ড কাপে আর দু’টো ম্যাচ জিতলেই খেতাব জিতবে মোহনবাগান। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের সেরাটা নিংড়ে দিতে হবে বাকি দুই ম্যাচে। তবে সবার আগে সেমিফাইনালে রিয়াল কাশ্মীর ম্যাচ নিয়েই আপাতত মনোনিবেশ করছে সবুজ-মেরুন শিবির। কোচ ভিকুনার স্বস্তি, এই ম্যাচ তাঁরা খেলবেন যুবভারতীতে। সেখানকার বড় মাঠ ও তার পরিবেশ মন কেড়েছে মোহনবাগান কোচের। ঘনিষ্ঠ মহলে সে কথা জানিয়েছেনও তিনি।
মোহনবাগান কোচ খুশি শুভ ঘোষ, শেখ সাহিলদের মতো তরুণ ফুটবলারদের উত্থানে। তবে দলের রক্ষণ নিয়েও তিনি চিন্তিত। সেই ভুলত্রুটি শোধরাতেই এ দিন অনুশীলনে বল-সহ ‘সিচ্যুয়েশন প্র্যাকটিস’ করান তিনি। গত কয়েক ম্যাচে দেখা গিয়েছে গোলের দরজা খুলে ফেলেও লক্ষ্যে সফল হতে পারছে না সবুজ-মেরুন শিবির। তাই এ দিন ‘ফিনিশিং’-এর জন্য বিশেষ অনুশীলন হয়েছে মোহনবাগানে।
কিবু জানেন, রিয়াল কাশ্মীর শক্তিশালী দল। তাই গত জানুয়ারিতে মোহনবাগান বা রিয়াল কাশ্মীর ম্যাচের ভিডিয়ো ক্লিপিংস দেখেছেন তিনি। তার সঙ্গে ডুরান্ড কাপে কাশ্মীর উপত্যকার দলটির খেলা দেখে রণনীতি সাজানো শুরু করেছেন মোহনবাগান কোচ।