কিভু ভিকুনা।
উচ্ছ্বাসে তো ভাসছেনই না। উল্টে পঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে গোল করে দলের হার বাঁচিয়ে নায়ক হওয়া শুভ ঘোষকে লক্ষ্য ঠিক রাখার পরামর্শ দিলেন কিবু ভিকুনা।
মঙ্গলবার লুধিয়ানায় ম্যাচের পরে হোটেলে ফিরে শুভকে ডেকে মোহনবাগানের স্পেনীয় কোচ বলে দেন, ‘‘মাঠে নামার সুযোগ পেলেই গোল করার চেষ্টা করতে হবে। সামনে ডার্বি। লক্ষ্যটা ঠিক রাখো। তোমার সামনে লম্বা ফুটবল জীবন পড়ে আছে। গোল করেছ বলে উচ্ছ্বাসে ভেসে যেয়ো না। মাথা ঠান্ডা রাখো।’’ তাঁকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতেও নিষেধ করেন সবুজ-মেরুন কোচ। ক্লাবের অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা শ্যামনগরের ছেলে শুভ কোচের কথা শুনে প্রতিশ্রতি দেন, ‘‘আপনি খেলার সুযোগ দিলে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’’
লিগ টেবলের শীর্ষে থেকে বুধবার রাতে শহরে ফেরেন জোসেবা বেইতিয়ারা। সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ হোটেল ছেড়ে বাসে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয় মোহনবাগান। বিকেল তিনটেয় বিমান ছাড়ার কথা থাকলেও তা ছাড়ে বেশ কিছুক্ষণ দেরিতে। দিল্লিতে আসার পরে বিমান দাঁড়িয়েছিল প্রায় দেড় ঘণ্টা। বিমানের মধ্যেই কোচ-সহ পুরো দল মোবাইলে কল্যাণীতে ইস্টবেঙ্গল-গোকুলম ম্যাচ দেখতে থাকেন। বিমান ওড়ার আগেই অবশ্য ফ্রান গঞ্জালেসরা জেনে যান খেইমে কোলাদোরা হেরে গিয়েছেন গোকুলম এফসি-র বিরুদ্ধে। রবিবার ডার্বির প্রতিপক্ষ ১-৩ গোলে হেরেছে দেখে কয়েকজন ফুটবলার উচ্ছ্বাসও প্রকাশ করেন। দলের সঙ্গে থাকা এক সিনিয়র ফুটবলার বিমান থেকে নেমে বললেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গলের হার দেখার পরেও কোচের মুখাবয়ব বদলায়নি। বরং আমাদের সবাইকে ডেকে তিনি বলে দেন, ডার্বি ম্যাচ জেতাটা আরও কঠিন হয়ে গেল। কারণ ইস্টবেঙ্গল এ বার জেতার জন্য আরও মরিয়া হয়ে মাঠে নামবে।’’ যা থেকে স্পষ্ট, ডার্বির আগে দলের মধ্যে আত্মতুষ্টি ঢুকতে দিতে নারাজ কিবু।
আজ, বৃহস্পতিবার অনুশীলন নেই ফ্রান মোরান্তেদের। দলকে বিশ্রাম দিয়েছেন সবুজ-মেরুন কোচ। ডার্বির প্রস্তুতি শুরু শুক্রবার থেকে যুবভারতী সংলগ্ন মাঠে। ইতিমধ্যেই রবিবারের খেলা নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে। বিশেষ করে, মোহনবাগান তাঁবুতে এ দিন প্রচুর সমর্থক এসেছিলেন টিকিট কিনতে।