সচিন তেন্ডুলকর।—ফাইল চিত্র।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একশো সেঞ্চুরির মালিক কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর। তবুও কপিল দেব মনে করেন, সেঞ্চুরিকে দুশো অথবা তিনশো রানে পরিণত করার মরিয়া চেষ্টা সচিনের মধ্যে ছিল না।
কপিল আগেও জানিয়েছিলেন, সচিনের যা প্রতিভা তাতে আরও অনেক প্রাপ্তি আসতে পারত। বুধবার ভারতের প্রাক্তন ওপেনার ডব্লিউ ভি রামনের সঙ্গে আলাপচারিতায় কপিল বলেন, ‘‘সচিনের মধ্যে যা প্রতিভা ছিল, ওর প্রজন্মে আর কারও মধ্যে দেখা যায়নি। ও জানত কী ভাবে সেঞ্চুরি পর্যন্ত পৌঁছনো যায়। কিন্তু সেই সেঞ্চুরিকে দুশো অথবা তিনশো রানে পরিণত করার মরিয়া বা আগ্রাসী চেষ্টা ওর মধ্যে দেখতে পেতাম না।’’
টেস্ট জীবনে মোট ছ’টি ডাবল সেঞ্চুরি রয়েছে সচিনের। নেই কোনও ট্রিপল সেঞ্চুরি। যদিও ওয়ান ডে ক্রিকেটে তিনিই প্রথম দ্বিশতরানকারী ব্যাটসম্যান। কপিল বলছেন, ‘‘অন্তত পাঁচটি ট্রিপল সেঞ্চুরি ও আরও দশটি ডাবল সেঞ্চুরি করা উচিত ছিল সচিনের। কারণ, পেসার অথবা স্পিনারদের ওভার-প্রতি অন্তত একটি বাউন্ডারি মারার ক্ষমতা ওর মধ্যে ছিল। কিন্তু সেঞ্চুরির পরেও খুচরো রান নিয়েই ইনিংস গড়তে দেখতাম ওকে।’’ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি অলরাউন্ডার আরও বলেন, ‘‘মুম্বই ঘরানায় কোনও ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরির পরে ফের শূন্য থেকে শুরু করত। সেই মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে বলেছিলাম সচিনকে।’’ মাস্টার ব্লাস্টারকে বীরেন্দ্র সহবাগের উদাহরণ দিয়েও বুঝিয়েছিলেন কপিল। ‘‘সেঞ্চুরির পরে সহবাগ আরও আগ্রাসী হয়ে যেত। প্রত্যেক ওভারে অন্তত একটি করে বাউন্ডারি আদায় করে নিত। পরের ২০ ওভারের মধ্যে দুশোর দোড়গোড়ায় পৌঁছে যেত। সচিনকে সেটাই বোঝাতাম।’’ বলে কপিল যোগ করছেন, ‘‘সহবাগকে আবার সচিনের উদাহরণ দিয়ে বলতাম, শুরুতে কতটা সাবধানী সচিন, দেখো। তুমি ৩০ মিনিট ক্রিজে থাকলে সেঞ্চুরি কে আটকায়?’’ তিরাশি বিশ্বকাপে জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সেই অপরাজিত ১৭৫ রানের ইনিংস নিয়ে কপিল বলেন, ‘‘কিরমানির সঙ্গে শেষ সাত ওভারেই বেশির ভাগ রান তুলেছিলাম। কিরমানি আমাকে আশ্বাস দিয়েছিল, যদি রান আউটের কোনও সুযোগ তৈরি হয় তা হলে ও নিজের উইকেট বলিদান দিতেও তৈরি। দলের মধ্যে এই বোঝাপড়াই চেয়েছিলাম।’’ হ্যাডলি, বোথাম, ইমরানদের সঙ্গে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে বললেন, ‘‘আমি সেরা অলরাউন্ডার কি না বলতে পারব না। তবে অবশ্যই এই তিনজনের চেয়ে ভাল অ্যাথলিট ছিলাম আমি।’’