আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোট ৬৮৭ উইকেট নিয়েছেন কপিল। —ফাইল চিত্র।
ইয়ান বথাম, রিচার্ড হ্যাডলি ও ইমরান খান এবং কপিল দেব। এই চার জনের মধ্যে কে সেরা অলরাউন্ডার, তা নিয়ে ক্রিকেটমহলে চলত চর্চা।
এই চার জনের মধ্যে নিজেকে সেরা বলছেন না। তবে কপিল দেব জানিয়ে দিলেন, বাকি তিন জনকে একত্র করলেও অ্যাথলিট হিসেবে তিনিই এগিয়ে থাকবেন। ভারতের মহিলা দলের কোচ ডব্লিউ ভি রামনের সঙ্গে আলাপচারিতায় কপিল বলেছেন, “আমি অবশ্যই নিজেকে গ্রেটেস্ট অলরাউন্ডার বলে দাবি করছি না। তবে ওই তিন জনকে সম্মিলিত করলে যা হবে তার চেয়ে বেটার অ্যাথলিট ছিলাম।”
কিন্তু এই চার জনের মধ্যে বোলার হিসেবে কে সেরা ছিলেন? কপিলের উত্তর, “সেরা বোলিং ছিল রিচার্ড হ্যাডলির। আমাদের চার জনের মধ্যে ও ছিল কম্পিউটারের মতো।” পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরানকে নিয়ে কপিল বলেছেন, “এটা বলব না যে ইমরান খান সেরা ছিল বা ওর প্রতিভা সহজাত ছিল। তবে আমার দেখা কঠোরতম পরিশ্রমী ছিল ও। যখন শুরু করেছিল তখন সাদামাটা বোলারের মতো লাগত ওকে। তার পর প্রচণ্ড পরিশ্রমী ফাস্ট বোলার হয়ে ওঠে। ও নিজেই শিখে এগিয়েছিল। তার পর ব্যাটিং নিয়েও খাটাখাটনি করেছিল।”
আরও পড়ুন: ‘সৌরভকে সরিয়ে দ্রাবিড়কে পাশে নিয়ে জাঁকিয়ে বসেন গ্রেগ’, বিস্ফোরক প্রাক্তন নির্বাচক
আরও পড়ুন: বিশ্বজয়ের নেপথ্যে আইপিএল, বলছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক
ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার ইয়ান বথামকে ‘সত্যিকারের অলরাউন্ডার’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। কপিল বলেছেন, “ও ছিল ট্রু অলরাউন্ডার। মনের মতো পরিবেশে ও একাই জেতাতে পারত ম্যাচ। তবে হ্যাডলিকে আবার সেরা ব্যাটসম্যান বলতে পারছি না। ইয়ান বথাম কিন্তু ব্যাট হাতে ও বোলিংয়ের মাধ্যমে, দু’ভাবেই বিপক্ষকে চাপে ফেলতে পারত। ইমরানও প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিতে পারত। তবে অধিনায়ক হিসেবে ও আরও বেশি ভাল ছিল। পাকিস্তান দলকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল ও।”
পরিসংখ্যান অনুসারে, কপিল ১৩১ টেস্ট ও ২২৫ এক দিনের ম্যাচে যথাক্রমে ৪৩৪ ও ২৫৩ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৫২৪৮ ও ৩৭৮৩ রান করেছিলেন। ইমরান খান ৮৮ টেস্ট ও ১৭৫ এক দিনের ম্যাচে যথাক্রমে ৩৬২ ও ১৮২ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৩৮০৭ ও ৩৭০৯ রান করেছিলেন। বথাম ১০২ টেস্ট ও ১১৬ এক দিনের ম্যাচে যথাক্রমে ৩৮৩ ও ১৪৫ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৫২০০ ও ২১১৩ রান করেছিলেন। হ্যাডলি ৮৬ টেস্ট ও ১১৫ এক দিনের ম্যাচে যথাক্রমে ৪৩১ ও ১৫৮ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৩১২৪ ও ১৭৫১ রান করেছিলেন।