২৭ বছর আগে ইস্টবেঙ্গলের ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন কপিল দেব। এ বারও ক্লাবের ডাকে আসছেন তিনি। — ফাইল চিত্র।
শতবর্ষে ‘ভারত গৌরব’ সম্মানে ভূষিত করা হবে ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব নিখাঞ্জকে। ইস্টবেঙ্গল আগেই জানিয়েছিল তা। আজ, বুধবার হঠাৎই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে, ১৯৮৩ সালের বিশ্বজয়ী অধিনায়ক ইস্টবেঙ্গলের অনুষ্ঠান নাকি বয়কট করছেন। টুইটারেও ট্রেন্ডিং হয়ে ওঠে #kapildevboycotteb। কপিল কি শেষমেশ ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষ অনুষ্ঠানে আসবেন?
লাল-হলুদ-এর সহ-সচিব শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত বলছেন, ‘‘আমাদের কাছে যা খবর, তাতে কপিল আসছেন। কোথা থেকে এ রকম গুঞ্জন ছড়াল, তা আমাদের জানা নেই। আমাদের বিরুদ্ধে হয়ত অন্তর্ঘাত হচ্ছে।” ভারতীয় দলের হেড কোচ থেকে সাপোর্ট স্টাফ নিয়োগের দায়িত্ব কপিলের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের কমিটির উপরে। শান্তিবাবু আরও বলেন, “হঠাৎ করে ব্যস্ত হয়ে পড়লে অন্য কথা। তবে আমাদের কাছে খবর কপিল আসছেন।’’
যাঁকে নিয়ে এত গুঞ্জন, সেই কপিল দেব এ সব গুজব থেকে শত মাইল দূরে। আনন্দবাজারকে দূরভাষে তিনি বললেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আমি ক্লাবের অনুষ্ঠানে যাচ্ছি।’’ বৃহস্পতিবার দুপুরেই শহরে পা রাখবেন কপিল। ১৯৯২ সালে একটি প্রদর্শনী ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলতে এসেছিলেন কপিল। খুব বেশি ক্ষণ সে বার মাঠে থাকেননি তিনি। ২৭ বছর পরেও লাল-হলুদের ডাকে সাড়া দেন তিনি।
আরও পড়ুন: অবসরের পর মোহনবাগান আমাকে আর ডাকেনি, ফেসবুকে পোস্ট হতাশ ব্যারেটোর
আরও পড়ুন: দু’প্রধানের অনুশীলনে ঝামেলা
২৮ তারিখই ক্লাবের শতবর্ষ অনুষ্ঠানের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। তার পরের দিনই খবর ছড়িয়ে পড়ে লাল-হলুদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চলেছে স্পনসররা। সরে যাওয়ার কারণ হিসেবে উঠে আসছে কর্তাদের সঙ্গে বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্ণধারের বনিবনা না হওয়ার তত্ত্ব। তাদের তরফে আবার বলা হচ্ছে, ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছে। ক্লাবকে এই মর্মে জানানোও হয়েছে। শতবর্ষের আবেগ গায়ে মাখা সমর্থকরা এই খবরে মুষড়ে পড়েন। যদিও লাল-হলুদ কর্তারা কিন্তু ক্লাবের সঙ্গে স্পনসরের সম্পর্ক নিয়ে এখনই ভাবতে রাজি নন। শতবর্ষের অনুষ্ঠান সফল ভাবে করাই তাঁদের এই মুহূর্তে প্রধান উদ্দেশ্য।
কাল, বৃহস্পতিবার ক্লাবের প্রতিষ্ঠা দিবস। দুপুর বারোটা নাগাদ বিশ্বের ২০০টি দেশে একই সঙ্গে ক্লাবের পতাকা উড়বে। বিকেলে ক্লাবের একাধিক অনুষ্ঠান রয়েছে। সেই অনুষ্ঠানেই কপিলকে ভারত গৌরব সম্মান দেওয়া হবে।