নজরে: সাদিও মানের দিকেই তাকিয়ে লিভারপুল। ফাইল চিত্র
লিভারপুলে সাদিয়ো মানেকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত তাঁর সতীর্থরা। অ্যান্ডি রবার্টসনের কথায়, সেনেগালের মহাতারকা তাঁর ফুটবলকে কার্যত অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন। এমনকি মহম্মদ সালাহর ছায়া থেকেও বেরিয়ে এসেছেন।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সালাহ, মানে ও রবের্তো ফির্মিনোর ত্রিমুখী আক্রমণ এখন ইউরোপের সব দলের কাছে ভয়ের কারণ। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছেন মানে। এ’মরসুমে ইতিমধ্যে এক ডজন গোল করে ফেলেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আজ, বুধবারও অ্যানফিল্ডে নাপোলির বিরুদ্ধে তিনি দারুণ কিছু করবেন মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ইউরোপের সেরা টুর্নামেন্টে য়ুর্গেন ক্লপের দল এই মুহূর্তে রয়েছে ই-গ্রুপের শীর্ষে। চার ম্যাচের তিনটিতে জিতেছে গত বারের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব। একটি ড্র। গোল করেছে সাতটি। পয়েন্ট ৯। যুযুধান নাপোলির পয়েন্ট সেখানে ৮। দু’টি জয়, দু’টি ড্র। নাপোলিকে হারাতে পারলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নক-আউটে যাবে লিভারপুল। ক্লপ বলেছেন, ‘‘ইপিএলে আমরা শীর্ষে আছি ঠিকই, কিন্তু এ বার আমাদের খেলায় আরও অনেক উন্নতি করতে হবে।’’ নাপোলি নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ওরা খুবই কঠিন প্রতিপক্ষ। এগারো জনই ভাল ফুটবলার। একজন-দু’জন তারকার উপরে নির্ভর করে না। জানি ওদের ক্লাব এখন নানা সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তার কোনও প্রভাব বুধবারের খেলায় পড়বে বলে মনে করি না।’’
ক্লপও কিন্তু মানের কথা আলাদা করে বলেছেন। হালফিলে লিভারপুল বলতে সবাই সালাহর কথা বলতেন। কিন্তু সেনেগালের তারকাও কম যাচ্ছেন না। মানে লিভারপুলে যোগ দেন ২০১৬-তে। সালাহর এক বছর আগে। কিন্তু মিশরীয় তারকাই ক্রমশ অ্যানফিল্ডে প্রধান চরিত্র হয়ে ওঠেন। ২০১৭-’১৮ মরসুমে সালাহ একাই ইপিএলে করেন ৩২ গোল। গত মরসুমে চমকে দেন মানেও। তিনি ও সালা দু’জনে করেন ২২ গোল করে। মানে বলেছেন, ‘‘আমার দলের এগারো জনই সেরা। ওদের জন্যই সব কিছু এত সহজ হয়ে যায়। ওদের পাশে খেলে সব সময়ই আনন্দ পাই।’’