ফাইল চিত্র।
ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের দশ বছর পেরিয়ে গেলেও মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সেই ম্যাচ জেতানো ছয় এখনও বিস্মিত করে ইংল্যান্ডের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান জস বাটলারকে। ইংল্যান্ড তারকা বরাবরই প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের ভক্ত। তাঁর শান্ত মেজাজ, দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচ জেতানোর দক্ষতাকে কুর্নিশ জানান বাটলার। দশ বছর পেরিয়ে গেলেও ভুলতে পারেননি ধোনির সেই ম্যাচ জেতানোর মুহূর্ত। যত বার দেখেন, তত বার বিস্মিত হন তিনি।
বাটলার আরও অবাক হয়েছিলেন, বিশ্বকাপ জেতানোর পরেও ধোনির মধ্যে কোনও উচ্ছ্বাস দেখতে না পেয়ে। তিনি ভাবতেই পারেন না, কী করে সব চেয়ে বড় প্রতিযোগিতা জেতার পরে এতটা শান্ত থাকতে পারেন কোনও মানুষ? এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মঙ্গলবার বাটলার বলেছেন, ‘‘ধোনি যে ছয় মেরে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিল, তা এখনও দেখে বিস্মিত হই। এখনও মনে আছে, ছয় মারার পরে ব্যাটটি ঘুরিয়ে নীচে নামিয়েছিল। কতটা মাথা ঠান্ডা হলে সেই মুহূর্তে উচ্ছ্বাস ধরে রাখা সম্ভব! তখন থেকেই ধোনিকে পছন্দ করতে শুরু করে অনেকে। ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা মুহূর্ত নিশ্চয়ই হয়ে থাকবে ধোনির সেই ছয়। আমি মনে করি, এখনও ওর মধ্যে ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রয়েছে। ওর ব্যাটিং এখনও উপভোগ করি।’’
ধোনির খেলা দেখার পরে বাটলারের মনে হত, কেন তাঁর মধ্যে কোনও উচ্ছ্বাস ছিল না? কেনই বা তিনি যে কোনও ধরনের উত্তেজনা প্রশমন করেন? ক্রিকেটের সঙ্গে কি এই আচরণের কোনও যোগসূত্র রয়েছে? নাকি ধোনি বরাবরই এই রকম? তিনি বলেছেন, ‘‘ওর বেশ কয়েকটি ইনিংস দেখার পরেই আমার কৌতূহল বাড়তে শুরু করল। কখনওই মাঠে আবেগপ্রবণ হতে দেখিনি। সব সময় ভাবতাম, কোনও নির্দিষ্ট কারণ নেই তো? ধোনিকে দেখলে মনে হত, ক্রিকেটকে কতটা সহজ করে দেখে ও। কিছু নিয়েই অতিরিক্ত চিন্তা করতে দেখতাম না।’’
ব্যাটিংয়ের সঙ্গেই ধোনির কিপিংও মুগ্ধ করে বাটলারকে। উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে বিদ্যুৎ গতিতে স্টাম্পিংয়ের একাধিক উদাহরণ রেখে গিয়েছেন ধোনি। ক্রিকেট ব্যাকরণ অনুযায়ী কিপিং না করলেও ধোনির নিজস্ব কিছু পদ্ধতি ছিল। যা দেখে অবাক হন বাটলার। বলেছেন, ‘‘উইকেটকিপার ধোনির মধ্যে যতটা গতি ছিল, তা বিশ্বের অনেকের মধ্যে দেখিনি। কোচেরা হয়তো বলবে, এটা সঠিক পদ্ধতি নয়। ধোনিকে অনুকরণ করতেও নিষেধ করতে পারেন। কিন্তু ধোনি নিজের পদ্ধতি অনুযায়ী কিপিং করত।’’