ফ্রান্সের কাশিম আইদারা এবং কোস্টা রিকার জনি আকোস্তা।
নতুন লগ্নিকারী এখনও চূড়ান্ত না হলেও দল গঠনের ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তামুক্ত লাল-হলুদ শিবিরের কর্তারা। কারণ, ইস্টবেঙ্গল আইএফএ-র নথিভুক্ত ক্লাব।
বাংলার ফুটবল নিয়ামক সংস্থার সচিব স্পষ্ট বলে দিলেন, ‘‘কলকাতা লিগ, আইএফএ শিল্ডের মতো স্থানীয় প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য নথিভুক্ত থাকতেই হবে। আইএফএ-তে ইস্টবেঙ্গল নামেই নথিভুক্ত রয়েছে। লগ্নিকারী সংস্থার নামে নয়। তাই ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার সই করাতেই পারে।’’ এর পরেই লাল-হলুদ শিবিরের কেউ কেউ খোলাখুলি বললেন, ‘‘আইএসএল বা আই লিগ খেলতে গেলে প্রমাণ করতে হবে আমাদের ফুটবল দল গড়ার অধিকার আছে কি না। এখন যা অবস্থা তাতে ভারতে ফুটবল কবে শুরু হবে তা কেউ জানে না। ফলে আমাদের কেউ দল গড়ার ক্ষেত্রে বাধা দিতে পারে না।’’ শোনা যাচ্ছে, এই কারণেই নাকি ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি লগ্নিকারী সংস্থায় কথাবার্তা অনেকদূর এগিয়ে গেলেও চূড়ান্ত কিছু হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে ইস্টবেঙ্গলের ভবিষ্যৎ কী? এটিকের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে আগামী মরসুমে আইএসএলে খেলা নিশ্চিত মোহনবাগানের। যদিও সবুজ-মেরুন সমর্থকদের অনেকেই মনে করেন তাঁদের পুরনো সেই মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব আর নেই। তা বিক্রি হয়ে গিয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী এটিকের আশি শতাংশ মালিকানা। মোহনবাগানের পড়ে থাকছে মাত্র কুড়ি শতাংশ। এক কর্তা বললেন, ‘‘আশা করছি, ১ জুলাই থেকে নতুন বোর্ড কাজ শুরু করতে পারব বলে।’’ এ দিকে আগামী সপ্তাহে দেশে ফেরা চূড়ান্ত হল লাল-হলুদের তিন বিদেশি জনি আকোস্তো, কাশিম আইদারা ও কার্লোস নোদারের।