বেকার এবং ম্যাকানরো। ফাইল ছবি।
উইম্বলডন শুরু হতে বাকি মাত্র কয়েক দিন। বিশ্বের তাবড় প্রাক্তন এবং বর্তমান টেনিস খেলোয়াড়দের ভিড় লন্ডনে। কেউ এসেছেন খেলতে, কেউ খেলা দেখতে। কেউ এসেছেন কোচ হিসাবে, আবার কেউ প্রতিযোগিতার সঙ্গে যুক্ত কোনও কাজে।
লন্ডনে বছরের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্লাম ঘিরে তুঙ্গে উন্মাদনা। কিন্তু সেই শহরে থেকেও উন্মাদনার আঁচ পোহাতে পারছেন না তিন বারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন বরিস বেকার। ব্যাঙ্ক প্রতারণার দায়ে জেল খাটছেন বেকার। আদালতের নির্দেশে লন্ডনেরই হান্টারকম্ব জেলে বন্দি তিনি।
কতই বা দূরত্ব। মাত্র দেড় ঘণ্টার রাস্তা হান্টারকম্ব জেল থেকে অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাবের। কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও যাওয়ার উপায় নেই বেকারের। জেলের বন্দিদের শরীরচর্চা করিয়েই দিন কাটছে তাঁর।
উইম্বলডনের ঘাসের কোর্ট এক সময় শাসন করেছেন জার্মানির প্রাক্তন টেনিস খেলোয়াড়। জেলবন্দি বেকার এখন টেনিস থেকে অনেক দূরে। টেনিসও বোধ হয় নায়ক থেকে খলনায়ক হয়ে যাওয়া বেকারকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। বেকারের কথা কি কেউ মনে রেখেছেন? রেখেছেন। তাঁর নাম জন ম্যাকেনরো। এক সময়ের প্রতিপক্ষের সঙ্গে জেলে গিয়ে দেখা করতে চান তিনি।
টেনিসজীবনে বেকার-ম্যাকেনরো মুখোমুখি হয়েছেন ১০ বার। আট বারই জিতেছেন বেকার। কোর্টের লড়াইয়ে অধিকাংশ বার হারলেও বন্ধুর জন্য মনখারাপ। দু’জনেই তিন বার করে উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। ম্যাকেনরো বলেছেন, ‘‘বেকারের জন্য খুব খারাপ লাগছে। ও আমার প্রিয় বন্ধু। ভীষণ খারাপ লাগছে।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘সম্ভব হলে বেকারের সঙ্গে দেখা করতে চাই। জানি না ও দেখা করতে রাজি হবে কি না। সেরা টেনিস খেলোয়াড়দের এক জন বেকার। আমার কাছে ও অনেক কিছু।’’
বেকারকে জেলে যেতে হবে, বুঝতে পারেননি ম্যাকানরো। আমেরিকার প্রাক্তন খেলোয়াড় বলেছেন, ‘‘অনেক দিন ধরেই কঠিন সময় যাচ্ছে ওর। তাও আমাকে বলত, চিন্তা করার কিছু নেই। সব কিছুই না কি ওর নিয়ন্ত্রণে ছিল। বেকার আসলে এ রকমই। সব সময়ই কোর্টের মতোই আত্মবিশ্বাসী। ওর মনে রাখা উচিত ছিল, কোর্টে দুর্দান্ত মানেই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তেমন না-ও হতে পারে। আর্থিক বিষয়ের মতো আদালতের বিষয়টাতেও আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল বেকারের।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।