জানুয়ারিতে নিউজ়িল্যান্ড সফরের দলে ফেরানো হতে পারে বুমরাকে। —ফাইল চিত্র
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলা হয়নি তাঁর। বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও তিনি দলের বাইরে। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ান ডে দলেও তাঁকে রাখা হয়নি। কোমরের চোট (স্ট্রেস ফ্র্যাকচার) প্রায় তিন মাসের জন্য ক্রিকেট থেকে ছিটকে দিয়েছে যশপ্রীত বুমরাকে। তবে ডিসেম্বরের শেষের দিকে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে ভারতীয় পেসারের। সে ক্ষেত্রে জানুয়ারিতে নিউজ়িল্যান্ড সফরের দলে ফেরানো হতে পারে তাঁকে।
ভারতীয় নির্বাচক কমিটির প্রধান এমএসকে প্রসাদের সে রকমই ইঙ্গিত। আগামী দল নির্বাচনী বৈঠকে হয়তো তিনি কমিটির প্রধান হিসেবে থাকবেন না। তবুও মনে করেন, ‘‘ডিসেম্বরের মধ্যে বুমরার ফিট হয়ে যাওয়ার কথা। আমি নিশ্চিত, নিউজ়িল্যান্ড সফরের দলে ওকে ফেরানো হবে।’’
বুমরার চোট-উদ্বেগের সঙ্গেই প্রশ্ন উঠছে ঋষভ পন্থের ফর্ম নিয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে রাখা হয়েছে তাঁকে। সেই সিরিজের প্রস্তুতির জন্য সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি খেলার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে দিল্লির তরুণ উইকেটরক্ষককে। ক্রিকেট জীবনে শুরুটা ভাল করলেও গত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে ছন্দ হারিয়েছেন ঋষভ। সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেই আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজ তাঁর কাছে মরণ-বাঁচন লড়াই।
নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যানের বিশ্বাস, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেই ছন্দে ফিরবেন ঋষভ। তাঁর মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটারের ব্যর্থতার সময়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন প্রসাদ। শনিবার সিএবি-র ক্লাব হাউসে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘ঋষভ খুব ভাল ক্রিকেটার। বর্তমানে কিছুটা ছন্দপতন হয়েছে ঠিকই। কিন্তু নির্বাচক হিসেবে একজন ক্রিকেটারের পাশে দাঁড়ানোর এটাই সময়। তাই ওকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।’’ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজকে ঋষভের শেষ পরীক্ষা হিসেবে ধরা যেতে পারে? প্রসাদের উত্তর, ‘‘সেটা বলা উচিত হবে না। নির্বাচক হিসেবে আমি চাই প্রত্যেক ক্রিকেটারই নিজেদের সুযোগের সদ্ব্যবহার করুক। তাদের কোনও সময়সীমার মধ্যে বেঁধে রাখা ঠিক নয়। যতটা সম্ভব, সুযোগ দিয়ে দেখা উচিত ঋষভকে।’’
ভারতীয় পেস আক্রমণের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ প্রসাদ। এই পেস ত্রয়ীকে দেশের সর্বকালের সেরা বলতেও দ্বিধাবোধ করলেন না তিনি। প্রসাদের কথায়, ‘‘ওরা যে ভাবে বল করছে তা দেখে বলতেই হয়, এই পেস আক্রমণই ভারতের সর্বকালের সেরা। যে কোনও দলই ওদের বিরুদ্ধে সমস্যায় পড়বে। আমি প্রচণ্ড খুশি, ভারতীয় পেসারেরা এতটা বিধ্বংসী হয়ে উঠেছে।’’
সিএবি বক্সে বসে ভারতীয় অধিনায়কের ২৭তম সেঞ্চুরি উপভোগ করেছেন তিনি। গোলাপি বলের সুইং ও বাউন্সের বিরুদ্ধে দাপটের সঙ্গে ভারতীয় ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন অধিনায়ক। তা দেখে প্রসাদের উপলব্ধি, ‘‘অসাধারণ ব্যাটিং। আরও একটি সেঞ্চুরির জন্য ভারত অধিনায়ককে অভিনন্দন। ভারতে প্রথম দিনরাতের টেস্ট ম্যাচে এ রকমই একটি পারফরম্যান্স দেখতে চেয়েছিলাম। ধারাবাহিকতাই ওর সাফল্যের কারণ।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘এই দল নিয়ে আমি খুব খুশি। যে কোনও পরিবেশে লড়াই করার ক্ষমতা ওদের রয়েছে।’’
দিনরাতের ম্যাচই কি টেস্টের ভবিষ্যৎ? এই মুহূর্তে সব চেয়ে বেশি চর্চিত বিষয় নিয়ে পরিষ্কার করে বলতে চাননি প্রসাদ। তাঁর জবাব, ‘‘এখনও টেস্ট ম্যাচ চলছে। শেষ না হওয়ার আগে এ বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। টেস্ট শেষ হলে অধিনায়ক ও দলের বাকিদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি দেখা হবে।’’