কেউ টেরও পাননি, কবে থেকে দু’জনার প্রেম জমে উঠেছে, বিয়ে পর্যন্ত কথা এগিয়েছে। তবে সোমবারের পর বলাই যায়— সঞ্জনায় বোল্ড বুমরা! ভারতীয় দলের পেসার যশপ্রীত বুমরা এবং ক্রীড়া সঞ্চালিকা সঞ্জনা গণেশনের চার হাত এক হল সোমবার।
কেমন ছিল যশপ্রীত-সঞ্জনার বিয়ের অনুষ্ঠান? দু‘জনার সম্পর্কই বা কখন শুরু হল? ভারতীয় দলের সতীর্থদের অনেকের প্রেম-পরিচয় নিয়ে পেজ থ্রি-র পাতায় হামেশাই খবর ভেসে ওঠে। তবে বুমরাকে নিয়ে তেমন মাতামাতি হয়নি।
সোমবার অনেককেই খানিকটা চমকে দিয়েছেন বুমরা। গোয়ায় একটি বিলাসবহুল হোটেলে বিয়ে করলেন কয়েক বছরের বান্ধবী সঞ্জনাকে।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মোতেরা টেস্ট খেলেই ছুটি নিয়েছিলেন বুমরা। বিসিসিআইয়ের তরফে বলা হয়েছিল, ব্যক্তিগত কারণে ছুটি নিয়েছেন ভারতীয় পেসার।
বুমরা ছুটিতে যাওয়ার খবর চাউর হতেই জল্পনার পালে হাওয়া লেগেছিল। তবে তিনি বিয়ে করতে চলেছেন বলে জল্পনা শুরু হলেও এ ব্যাপারে নাকি বুমরার দলের সতীর্থরা কিছুই জানতেন না।
সঞ্জনার সঙ্গে কবে প্রথম আলাপ হয়েছিল বুমরার? অনেকে বলেছেন, বছর কয়েক আগে বিসিসিআইয়ের বাৎসরিক একটি অনুষ্ঠানে দু’জনের প্রথম দেখা। আর সেই থেকেই নাকি মন দেওয়া নেওয়ার শুরু। তবে গোটাটাই ছিল আড়ালে।
বুমরার মতোই সঞ্জনাও তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে বিশেষ মাতামাতি করেননি। মাস দুয়েক আগে নেটমাধ্যমে এক বার অবশ্য একটা পোস্ট করেছিলেন। ২২ গজে বুমরার নানা মুডের ছবি তুলে ধরেছিলেন নিজের টুইটার হ্যান্ডলে। সঙ্গে লিখেছিলেন, ‘মাঠে বুমরার মুড আর আমার মুড সুইং একেবারে একই রকমের’। তবে এ ছাড়া, নিজেদের সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলতে দেখা যায়নি তাঁকে।
সঞ্জনার মতোই তাঁদের সম্পর্ক গোপনেই রেখেছিলেন বুমরা। ২২ গজে বিষাক্ত ইনসুইং ইয়র্কারে প্রতিপক্ষের উইকেট উড়িয়ে দিলেও বেশির ভাগ সময়ই আনন্দের আতিশয্য দেখান না তিনি। বিয়ের অনুষ্ঠানের ব্যাপারেও প্রায় তেমনটাই দেখা গেল।
গোয়ার হোটেলে বুমরা-সঞ্জনার বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল একেবারেই ছিমছাম। অনুষ্ঠানে মাত্র জনা কুড়ি অতিথি আমন্ত্রিত। সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা মোবাইল ফোনে। ফলে বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথিরা কেউই মোবাইল ব্যবহারের অনুমতি পাননি।
বিয়ের অনুষ্ঠান ছিমছাম হলেও বুমরা-সঞ্জনার পোশাক বেশ জমকালো ছিল। দু’জনের পোশাকেও ছিল একই রঙের ছোঁয়া। হালকা গোলাপি আভায় ঢাকা লেহঙ্গা-চোলির মাঝে সবুজ-গাঢ় জরির কাজে ঢাকা ছিলেন সঞ্জনা।
সঞ্জনার মতোই বুমরার বিয়ের শেরওয়ানিও ছিল গোলাপি। সঙ্গে ঘিয়ে রঙের কাজ করা শাল। তবে গাঢ় রঙের মুক্তোর মালায় সেজে ছিলেন দু’জনাই।
বিয়ের অনুষ্ঠানের ফাঁকে পরিজনের আশীর্বাদ নিতে ভোলেননি দম্পতি। তাঁদের উপর ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে আশীর্বাদ-ভালবাসা-শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন সকলেই।