নেভিলের গোলে স্বস্তি ফিরল লাল-হলুদে। ছবি টুইটার
একেই বোধহয় বলে ওস্তাদের মার শেষ রাতে।
গোটা ম্যাচে দাপিয়ে খেলল কেরল ব্লাস্টার্স। দ্বিতীয়ার্ধে একসময় গোলও পেয়ে গেল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গোল শোধ করে নিজেদের অপরাজিত থাকার দৌড় অক্ষত রাখল ইস্টবেঙ্গল। যদিও দুই দলই নিজেদের তিন নম্বর জয় তুলে আনতে ব্যর্থ। কিন্তু শুক্রবারের ম্যাচের বিচারে সেই পয়েন্টের যোগ্য দাবিদার ছিল কেরলই।
কিবু ভিকুনার কেরলকে শুরু থেকেই গোছানো খেলা খেলতে দেখা যাচ্ছিল। এসসি ইস্টবেঙ্গলের ব্রাইট এনোবাখারে, জাঁ মাঘোমাকে এক ইঞ্চিও জায়গা ছাড়ছিল না তারা। মাঘোমাকে গোটা ম্যাচেই এদিন চূড়ান্ত হতাশ লেগেছে। ব্রাইট সুযোগ না পেলেও অনেক বেশি কার্যকরী ছিলেন।
খেলা শুরুর আগেই রাজু গায়কোয়াড়ের চোট বিপদ তৈরি করে। পরিবর্ত হিসেবে নামা রানা ঘরামি কেরলের একমাত্র গোলের পিছনে দায়ী। জর্ডন মারেকে মার্কিংই করতে পারেননি। কিন্তু নেভিল শুরু থেকেই ডিফেন্সে ভাল খেলছিলেন। দলের বাকিদের ব্যর্থতার দিলে লাল-হলুদের হয়ে মশাল জ্বালালেন তিনিই।
৯৫ মিনিট । গো-ও-ও-ও-ও-ও-ও-ও-ও-ল। ওস্তাদের মার শেষ রাতে। খেলা শেষ হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে ব্রাইট এনোবাখারের কর্নার থেকে মাথা ছুঁইয়ে লাল-হলুদ ব্রিগেডের জন্য মূল্যবান এক পয়েন্ট এনে দিলেন স্কট নেভিল।
৯০ মিনিট । এখনও পিছিয়ে এসসি ইস্টবেঙ্গল। অতিরিক্ত সময় ৫ মিনিট।
৮৫ মিনিট । গোল তুলে পেতে মরিয়া ফাওলার একসঙ্গে দু’জন ফুটবলারকে নামালেন। মাঠে এসেছেন মহম্মদ রফিক এবং অ্যারন আমাদি হলোওয়ে। অফ ফর্মে থাকা মাঘোমা এখনও মাঠে। অজয়ের ফ্রিকিক থেকে সুবর্ণ সুযোগ মিস করলেন অ্যারন।
৮০ মিনিট । এখনও সমতা ফেরাতে পারেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। পিছিয়ে রয়েছে ০-১ ব্যবধানে। পিলকিংটন দুরন্ত শট নিয়েছিলেন বক্সের বাইরে থেকে। কিন্তু কেরলের ডিফেন্ডার কোস্তা তা সহজেই ক্লিয়ার করে দিলেন।
৭২ মিনিট । মাঠি স্টেনম্যানের বদলে নামলেন অ্যান্টনি পিলকিংটন। দীর্ঘদিন পরে মাঠে ফিরলেন তিনি। এই স্ট্রাইকারকে দিয়ে গোল তুলে নেওয়ার মরিয়া চেষ্টা করছেন ফাওলার।
৭০ মিনিট । পুরোপুরি ডিফেন্সের ভুলে পিছিয়ে পড়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। অ্যালবিনো ক্লিয়ারেন্স করার সময় রানা ঘরামি দাঁড়িয়েছিলেন জর্ডান মারের সামনে। তাঁকে মার্কিংই করতে পারেননি। লম্বা দৌড়ে ঠিক ভাবে মারে গোলে না ঠেলতে পারলেও তা দেবজিৎকে পরাস্ত করে।
৬৪ মিনিট । গো-ও-ও-ও-ও-ল। অ্যালবিনো গোমেজের ক্লিয়ারেন্স থেকে লম্বা বল। সোজাসুজি ধরে কেরল ব্লাস্টার্সকে এগিয়ে দিলেন জর্ডান মারে।
৫৫ মিনিট । বিরতিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের মিলন সিংহের জায়গায় নেমেছেন অজয় ছেত্রী। এসেই মাঝমাঠের হাল ধরার মরিয়া চেষ্টা করছেন। খেলাটাকে দুই উইংয়ে ছড়িয়ে দিতে চাইছেন তিনি। খেলা এখনও গোলশূন্য।
৫০ মিনিট । বিরতির পরেও ঝাঁজ বজায় রেখেছে কেরল। দুরন্ত সেভ করলেন দেবজিৎ মজুমদার। এই ম্যাচে একাধিকবার তাঁকে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। মাঝমাঠে বারবার ভুল করছে এসসি ইস্টবেঙ্গল।
বিরতি । বলের দখল প্রায় সমান-সমান থাকলেও প্রথমার্ধে এসসি ইস্টবেঙ্গলের খেলায় কোনও ঝাঁজ লক্ষ্য করা গেল না। ব্রাইট, মাঘোমারা আক্রমণ তুলে আনলেও বেশিরভাগ সময়েই বক্সের বাইরেই থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁদের আক্রমণ। জর্ডান মারে, গ্যারি হুপাররা বারবার ইস্টবেঙ্গলের গোলের সামনে পৌঁছে যাচ্ছেন। এখন দেখার দ্বিতীয়ার্ধে জয়ের গোল তুলতে ফর্মেশন বা দলে রবি ফাওলার বদল আনেন কিনা।
৪৩ মিনিট। প্রথমার্ধে প্রায় শেষ। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকে খুবই নড়বড়ে লাগছে। সেট-পিস বা উইং থেকে ভেসে আসা বল ক্লিয়ার করতে সমস্যা হচ্ছে ফক্স, রানাদের।
৩৫ মিনিট । খেলা এখনও কেরলের দখলে। তারা যে ভাবে চাইছে সে ভাবেই ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করছে। মাঘোমা, ব্রাইটদের ঝলক এখনও দেখা যায়নি। দুরন্ত ডিফেন্ডিং করছে কেরল।
৩০ মিনিট | দু’পক্ষই একে অপরকে বুঝে নিচ্ছে। কিন্তু বেশি করে ধরা পড়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠে ভাবনাচিন্তার অভাব। কেরল জায়গা দিচ্ছে না কোনও দিকেই। ডিফেন্ডারদের তরফেও ক্রমাগত ভুল হয়ে চলেছে।
২৫ মিনিট | ব্রাইট, মাঘোমার দ্রুত সেই সব মুভমেন্ট এখনও দেখা যাচ্ছে না। কেরল কাউন্টারে গেলেও দ্রুত ডিফেন্স গুছিয়ে নিচ্ছে। ফলে খেলার জায়গা পাচ্ছেন না ইস্টবেঙ্গল স্ট্রাইকাররা। ব্রাইট শট একটু আগেই বারের ওপর দিয়ে উড়ে গিয়েছে।
২০ মিনিট | খেলার মাঝেই ফের চোটের ভ্রূকুটি লাল-হলুদে। সাইডলাইনের ধারে ওয়ার্ম-আপ করতে দেখা যাচ্ছে পিলকিংটনকে। মাঠি স্টেনম্যানের কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে। তাঁকে তুলে নেওয়া হতে পারে।
১৫ মিনিট | মাঝে মাঝেই সুযোগ পেয়ে আক্রমণে উঠছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ফাইনাল থার্ডে গিয়ে ফিনিশ হচ্ছে না। তবে চিন্তায় রাখছে ডিফেন্স। কেরলকে অনেক বেশি মরিয়া দেখাচ্ছে।
১০ মিনিট | গোটা ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করছে কেরল। কিন্তু হঠাৎই গোলের সুযোগ এসেছিল হরমনের সামনে। যদি কেরল গোলকিপার অ্যালবিনো গোমেজ তা বাঁচিয়ে দিলেন।
৫ মিনিট | মাঠে নামার আগেই চিন্তা এসসি ইস্টবেঙ্গলে। চোট পেয়ে প্রথম একাদশে থাকলেও নামতে পারলেন না রাজু গায়কোয়াড়। বদলি হিসেবে নামলেন রানা ঘরামি। শুরুতেই ভুল পাসের সুযোগে গোলের কাছাকাছি এসেছিল কেরল। শেষ মুহূর্তে বাঁচালেন ডিফেন্ডাররা।
বেঙ্গালুরু এফসি-কে হারিয়ে উত্তেজনায় ফুটছে এসসি ইস্টবেঙ্গল শিবির। কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে টুর্নামেন্টের তৃতীয় জয় তুলে নিতে মরিয়া তারা। ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় নয়ে রয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। সম সংখ্যক ম্যাচ খেলে এক ধাপ নিচে কেরল।
বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে যে দল জিতেছিল তাতে কোনও বদল আনলেন না এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ রবি ফাওলার। প্রথম একাদশে জায়গা পেলেন না অ্যান্টনি পিলকিংটন। তবে রিজার্ভ বেঞ্চে রয়েছেন তিনি।
নতুন ফুটবলার অজয় ছেত্রীও জায়গা পেয়েছেন রিজার্ভ বেঞ্চে। ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণভাগে ব্রাইট এনোবাখারের সঙ্গী হরমনপ্রীত সিং।
অন্যদিকে, কিবু ভিকুনার কেরল দলে একটাই পরিবর্তন হয়েছে। দলে এসেছেন নিশু কুমার। তৃতীয় জয় তুলে নেওয়ার মরিয়া লক্ষ্যে রয়েছে কেরলও। কোচ ভিকুনা ইতিমধ্যেই চাপে রয়েছেন।
এখন দেখার দু’দলের মুখোমুখি সাক্ষাতে কারা জেতে।