ফক্সের গোলও জয় এনে দিতে ব্যর্থ এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। ছবি আইএসএল টুইটার
দারুণ লড়াই করেও এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে জিততে ব্যর্থ এসসি ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচ শেষ হল ১-১ ব্যবধানে। এই ম্যাচে যে রকম খেলেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড, তাতে জিততেও পারত তারা। কিন্তু ড্র হওয়ায় প্লে-অফের স্বপ্ন ক্রমশ ফিকে হচ্ছে এসসি ইস্টবেঙ্গলের কাছে। ১৪ ম্যাচ শেষে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে দশম স্থানেই থাকল তারা। গোয়াও তৃতীয় স্থান ধরে রাখল। সমসংখ্যক ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২১।
ম্যাচের ১৯ সেকেন্ডের মাথায় পেনাল্টি পেয়েছিল। এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন অ্যান্টনি পিলকিংটন। তাঁর শট পোস্টের বাইরে যাওয়ার। এরপরে কিছুটা গা ছাড়া মনোভাব দেখা গিয়েছিল লাল-হলুদের খেলায়। সেই সুযোগে ডিফেন্সের ভুলে গোয়াকে এগিয়ে দেন ইগর আঙ্গুলো।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য পাওয়া গিয়েছিল অন্য লাল-হলুদকে। প্রথমার্ধের ব্যর্থতা ভুলে অনেকটাই গা ঝাড়া দিয়ে নামে তারা। একাধিক চেষ্টা হলেও গোল আসছিল না। অবশেষে ৬৫ মিনিটে পিলকিংটনের ফ্রিকিক থেকে গোয়া গোলরক্ষক ধীরজ সিংহের ভুলে সমতা ফেরান ড্যানি ফক্স।
এরপর বাকি ম্যাচে পুরোটাই দাপিয়েছে রবি ফাওলারের বাহিনি। বাঁ দিক থেকে একের পর এক আক্রমণ তুলে আনছিলেন ব্রাইট এনোবাখারে। কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছিল না। চাপ বজায় রেখেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। খেলা কার্যত পুরোটাই হচ্ছিল গোয়ার অর্ধে। এদু বেদিয়া লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যাওয়ায় ভাগ্য তাদের পক্ষেই ছিল। কিন্তু তা কাজে লাগানো গেল না গোয়া ডিফেন্ডারদের পারদর্শিতায়। বাকি সময়টা তাঁরা একটাও ভুল করেননি। সময় মতো বল ক্লিয়ার করে রক্ষণকে মজবুত রেখেছেন।
খেলা শেষ। প্রচুর চেষ্টা করেও শেষদিকে গোল তুলে নিতে ব্যর্থ এসসি ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। ম্যাচের ফল ১-১।
৯০ মিনিট। পাঁচ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এখনও জয়সূচক গোল আসেনি।
৮৩ মিনিট। বাঁ দিক থেকে একের পর এক আক্রমণ তুলে আনছেন ব্রাইট। কিন্তু কিছুতেই ফাইনাল থার্ডে কাজের কাজ হচ্ছে না।
৭৪ মিনিট। দুর্দান্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও গোল পেল না এসসি ইস্টবেঙ্গল। বাঁ দিক থেকে নারায়ণ দাসের পাস থেকে চকিতে ঘুরে বাঁ পায়ে শট নিয়েছিলেন হরমনপ্রীত সিংহ। ধীরজ দুর্দান্ত বাঁচালেন।
৬৬ মিনিট। সমতা ফেরানোর পরের মিনিটেই মাথা গরম করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে বেরিয়ে গেলেন গোয়া অধিনায়ক এদু বেদিয়া।
৬৫ মিনিট। গো-ও-ও-ও-ও-ও-ও-ও-ও-ল। সমতা ফেরাল এসসি ইস্টবেঙ্গল। ব্রাইটকে ফাউল করায় ফ্রিকিক পেয়েছিল লাল-হলুদ বাহিনি। পিলকিংটনের ফ্রিকিক থেকে সমতা ফেরালেন ড্যানি ফক্স। বলের ফ্লাইট মিস করেছিলেন ধীরজ সিংহ।
৫৮ মিনিট। বাঁ দিক থেকে উঠে ব্রাইট দুর্দান্ত পাস বাড়িয়েছিলেন ব্রাইট। কিন্তু লুয়াংয়ের শট গোলের অনেক উপর দিয়ে চলে যায়।
৫০ মিনিট। পিলকিংটনকে এখনও আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছে না। এসসি ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণভাগকে এখনও সপ্রতিভ দেখাচ্ছে না। জেজে প্রথম একাদশে থাকলেও নিজের নামের প্রতি সুবিচার এখনও করতে পারেননি।
বিরতি। প্রথমার্ধে সমতা ফেরাতে পারল না এসসি ইস্টবেঙ্গল। যদিও কয়েকবার সুযোগ এসেছিল। কিন্তু গোয়া ডিফেন্ডারদের তৎপরতায় গোল হয়নি।
৩৯ মিনিট। গো-ও-ও-ও-ও-ও-ল। অজয়ের মিসপাস থেকে শেষমেশ গোল খেয়ে গেল এসসি ইস্টবেঙ্গল। মিসপাস ধরে অর্টিজ পাস বাড়িয়েছিলেন ইগর আঙ্গুলোকে। আঙ্গুলো দেবজিতকে কাটিয়ে অনায়াসে বল জালে জড়ান। তাঁকে কেউ মার্কই করেননি।
৩৮ মিনিট। অল্পের জন্য গোল খাওয়ার হাত থেকে বেঁচে গেল এসসি ইস্টবেঙ্গল। ফ্রিকিক থেকে আঙুল ছুঁইয়েছিলেন দেবজিৎ। বল ক্রসবারে লেগে বাইরে যায়।
৩৩ মিনিট। হঠাৎই তুলে নেওয়া হল মহম্মদ রফিককে। তাঁর জায়গায় দলে এলেন রানা ঘরামি।
৩০ মিনিট। সুযোগ পেয়েছিলেন অর্টিজ। কিন্তু দেবজিতের বিশ্বস্ত হাত বাঁচিয়ে দিল এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। এখনও কোনও গোল হয়নি। পেনাল্টির মিসের কারণে একটু হলেও বিষণ্ণ দেখাচ্ছে পিলকিংটনকে।
২০ মিনিট। ব্রাইটকে যথারীতি অনেক বেশি সক্রিয় দেখাচ্ছে। জেজের সঙ্গে তাঁর জুটি এখনও জমাট না হলেও দু’জনেই লাল-হলুদকে এগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। গোয়ার বক্সের জটলা থেকে শট নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন রফিক। কিন্তু রুখে দিলেন আদিল।
১১ মিনিট। প্রচুর পাস খেলছে এফসি গোয়া। এর মধ্যেই দেবজিৎ মজুমদারকে একাধিকবার সেভ করতে হয়েছে। অন্যদিকে, তিনবার এমন মিসপাস করেছেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের অজয় ছেত্রী যা থেকে গোল হতে পারত।
৩ মিনিট। ম্যাচের প্রথম দিকেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গলের কাছে। কিন্তু গোয়ার গোলকিপার ধীরজ সিংহ উল্টোদিকে ঝাঁপালেও পিলকিংটনের শট বেরিয়ে গেল পোস্টের পাশ দিয়ে। শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হারাল লাল-হলুদ।
প্লে-অফে ওঠার লক্ষ্যে শুক্রবার এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে মরণ বাঁচন ম্যাচে নামছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। এদিনের ম্যাচ জিততে না পারলে প্লে-অফ এবারের মতো হয়তো অধরাই থেকে যযাবে লাল-হলুদ ব্রিগেডের কাছে।
কোচ রবি ফাওলারও মরিয়া। তাই এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে দলে একাধিক পরিবর্তন আনলেন তিনি। মুম্বই সিটি এফসি ম্যাচের দল থেকে বাদ গেলেন অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়, মিলন সিং, মাঠি স্টেনম্যান, সুরচন্দ্র সিং এবং হরমনপ্রীত সিং। দলে এলেন রানা ঘরামি, অজয় ছেত্রী, মহম্মদ রফিক, ব্রাইট এনোবাখারে এবং জেজে।
এফসি গোয়া শিবিরে খারাপ খবর। দুটি হলুদ কার্ড দেখায় ডাগ আউটে থাকতে পারবেন না কোচ হুয়ান ফেরান্দো। দায়িত্ব সামলাবেন সহকারি কোচ জাভি গঞ্জালেজ। তাদের দলেও একাধিক বদল। গোয়ার হয়ে অভিষেক হচ্ছে আদিল খান এবং গোলকিপার ধীরজ সিংহের। স্ট্রাইকার ইগর আঙ্গুলোও দলে ফিরছেন।