বুধবারের ম্যাচে এসসি ইস্টবেঙ্গল। ছবি সৌজন্য টুইটার।
একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। চলতি আইএসএলে খারাপ রেফারিং নিয়ে এসসি ইস্টবেঙ্গলের ক্ষোভ আরও তীব্র হল। বৃহস্পতিবার এফএসডিএল-কে কড়া ভাষায় চিঠি লিখল টিম ম্যানেজমেন্ট।
ড্যানি ফক্সকে লাল কার্ড দেখানো নিয়ে অসন্তোষ তো ছিলই, এর মধ্যে যোগ হয়েছে ব্রাইট এনোবাখারের দ্বিতীয় গোল বাতিল হওয়া এবং কোচ রবি ফাওলারের হলুদ কার্ড দেখা। লাল-হলুদ শিবিরের দাবি, শুধুমাত্র খারাপ রেফারিং নয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাদের বিরুদ্ধে নিম্নমানের রেফারিং হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, আইএসএলের সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ড্যানি ফক্সকে লাল-কার্ড দেখানো ও অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়কে জঘন্য ট্যাকেল করার ভিডিয়ো মুছে ফেলা হয়েছে। সেটা নিয়েও সরব লাল-হলুদ টিম ম্যানেজমেন্ট।
আরও পড়ুন: সৌরভ বাড়ি ফিরতেই ভারতীয় বোর্ড চাপ বাড়াল অস্ট্রেলিয়ার উপর
খারাপ রেফারিং নিয়ে রবি ফাওলারের ক্ষোভ অবশ্য নতুন নয়। মরসুমের শুরুতে হারের হ্যাটট্রিক। এরপর শক্তিশালী জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে ১০ জন হয়ে যাওয়ার পরেও, ম্যাচ ড্র করেছিলেন জ্যাক মাঘোমা-অ্যান্টনি পিলকিংটনরা। সেই ম্যাচে ইউজেনসিং লিংডোকে অদ্ভুতভাবে জোড়া হলুদ কার্ড দেখিয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য করেন রেফারি রাহুল কুমার গুপ্ত। নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে দুবার ন্যায্য পেনাল্টি থেকে ইস্টবেঙ্গলকে বঞ্চিত করা হয়। এর মধ্যে মাঘোমার একটা গোল ছিল। ফলে একাধিক ম্যাচের শেষে রবি ফাওলার বলেছেন, ‘‘আমরা তো ১২ জনের বিরুদ্ধে খেলেই চলছি।’’
আইএসএলের নিয়ম অনুযায়ী কোনও ফুটবলার বা কোচিং স্টাফ দুটি হলুদ কার্ড দেখলে পরের ম্যাচে তাঁকে নির্বাসিত হতে হয়। ফলে ফাওলারকে পরের ম্যাচে রিজার্ভ বে়ঞ্চে পাবে না ইস্টবেঙ্গল। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব সামলাবেন দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর টনি গ্রান্ট।