রবিবার অনুশীলনে রয় কৃষ্ণ। ছবি টুইটার
এফসি গোয়া এবং বেঙ্গালুরু এফসি-র মতো দুই কঠিন দলকে হারিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটছেন আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাসের ছেলেরা। মঙ্গলবার তাদের সামনে প্রতিপক্ষ চেন্নাইয়িন এফসি।
গত মরশুমের ফাইনালে এই চেন্নাইয়িনকে হারিয়েই তৃতীয়বারের মতো ট্রফি ঢুকেছিল তৎকালীন এটিকে দলের ঘরে। তারপরে মোহনবাগানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন পরিচিতি পেয়েছে তারা। চেন্নাইয়িনও গিয়েছে ওঠাপড়ার মধ্য দিয়ে। কোচ থেকে ফুটবলার, বদলেছে অনেক কিছুই। আগের ম্যাচে এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে দুরন্ত খেলেছে তারা। তাই বর্ষশেষের আবহে প্রস্তুতিতে কোনও খামতি নেই এটিকে মোহনবাগান শিবিরে।
Our strike force is working hard! 💪
How many more can they add to their tally? 👀🧐#ATKMohunBagan #JoyMohunBagan #Mariners #IndianFootball pic.twitter.com/Ec11AKhrbA
চেন্নাইয়িনকে হারানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী এদু গার্সিয়া। তবে একইসঙ্গে বলছেন, গোয়া এবং বেঙ্গালুরুর মতোই শক্তিশালী চেন্নাইয়িন। এদুর কথায়, ‘‘ওদের সবার খেলার স্টাইল একইরকম। শেষ মিনিট পর্যন্ত লড়াই করতে পারে। গোল করে জেতার চেষ্টা করে।’’
আরও খবর: কুকুরের ডাকে বন্ধ হল ফুটবল ম্যাচ
এদুর মতে, রোজই তাঁরা উন্নতি করছেন। গতবারের চেন্নাইয়িনের সঙ্গে তুলনায় যেতে নারাজ তিনি। বলেছেন, ‘‘এক এক মরশুম এক এক রকমের হয়। এ বছর করোনার জন্য পার্থক্য বেশি করে চোখে পড়ছে। মাত্র এক বা দু’গোলে ম্যাচ জিততে পারছি বলে আমাদের আক্ষেপ নেই। আসল লক্ষ্য তিন পয়েন্ট। দেখতে হবে আমরা কতগুলি সুযোগ তৈরি করতে পারছি।’’
আরও খবর: রাহানের থেকে ধৈর্য শিখতে চান তরুণ শুভমন গিল
বাঙালি মিডফিল্ডার প্রবীর দাস দলকে দুটি কারণে চেন্নাইয়িনের থেকে এগিয়ে রাখছেন। বলেছেন, ‘‘প্রথমত, আমাদের দলের খেলায় অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। রক্ষণ অটুট রেখে আগের দুটি ম্যাচের মতো খেলতে পারলেই জয় আসবে। দ্বিতীয়ত, চেন্নাইয়িন সদ্য ম্যাচ খেলে আসছে। সেখানে আমরা আট দিন বিশ্রামের সুযোগ পেয়েছি। ওদের ক্লান্ত থাকার সুযোগটা নিতে হবে।’’
ডার্বির গোলদাতা মনবীর সিংহকে হাবাস সাপোর্টিং স্ট্রাইকার হিসেবে খেলাচ্ছেন। গোল করতে না পারলেও ওই পজিশনে যে তিনি স্বচ্ছন্দ, সেটা জানিয়েছেন পাঞ্জাবি স্ট্রাইকার। বলেছেন, ‘‘স্ট্রাইকারের পাশাপাশি দুটো উইংও পছন্দ আমাদের। গোলের মধ্যে দ্রুত ফিরতে হবে আমাকে। যে পজিশনেই খেলি, গোল করতে হবে। কোচ যেভাবে বলবেন সেভাবেই খেলব।’’