পাঁজরের চোট এখনও সারেনি। নর্থ-ইস্টের বিরুদ্ধে খেলছেন না সন্দেশ। ফাইল চিত্র
শনিবার প্রথম লেগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নামার আগে আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস বেশ চিন্তিত। কারণ পাঁজরে চোটের জন্য নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন না সন্দেশ জিঙ্ঘন। ফলে প্রথম একাদশে রক্ষণ মজবুত করতে সমস্যায় পড়ছেন তিনি। এটা চিন্তার প্রথম কারণ হলে দ্বিতীয় কারণ হলেন খালিদ জামিল। চলতি আইএসএলে জেরার নুসের সময়ে সবুজ-মেরুন জিতলেও, খালিদ কিন্তু হাবাসের দলকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে দেয়। তাই ভারতীয় কোচের ধুরন্ধর ঘুঁটি সাজানো নিয়ে চাপে আছেন স্প্যানিশ কোচ।
মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে গত ম্যাচ হেরে যাওয়ায় এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যেতে পারেনি সবুজ-মেরুন। এর মধ্যে তারকা ডিফেন্ডার সন্দেশ নেই। সেটা নিয়ে দলের প্রধান কোচ চাপে থাকলেও মুখে সেটা প্রকাশ করতে রাজি নন। তাই বলছেন, “কয়েকটা হারের জন্য জীবন থেমে যায় না। মুম্বইয়ের কাছে হারলেও ছেলেদের মধ্যে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা আছে। আর তাছাড়া সন্দেশ না থাকলেও বাকিরা তো আছে। তাদের নিয়েই লড়তে হবে। জিতে নিজেদের যোগ্যতা ফের প্রমাণ করতে হবে।”
কিন্তু প্রশ্ন হল, সন্দেশের বদলে কে খেলবেন? মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে চোট পাওয়ার পর তাঁর জায়গায় খেলেছিলেন কার্ল ম্যাকহিউ। তবে তিনি তো ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। তবে ভাল খবর হল, কার্ড সমস্যা কাটিয়ে শুভাশিস বসু ফিরছেন। তিনি সেন্ট্রাল ডিফেন্সে খেলতে পারেন। সেক্ষেত্রে ৩-৫-২ ছকে দল সাজিয়ে শুভাশিস, তিরি, প্রীতম কোটালকে নিয়ে রক্ষণ সাজাতে পারেন হাবাস। সেটা হলে কার্ল ম্যাকহিউ তাঁর পছন্দের জায়গায় খেলতে পারবেন।
মুম্বই এফসি ম্যাচের পুনরাবৃত্তি চাইছেন না হাবাস। ফাইল চিত্র।
শুধু সন্দেশের অনুপস্থিতি নয়, হাবাসের দল সেটপিস থেকেও একনাগাড়ে গোল হজম করেছে। এখনও ১৫টি গোলের মধ্যে ৭ গোল হজম করতে হয়েছে সেটপিস থেকে। হাবাস সেটা নিয়েও বাড়তি মন্তব্য করতে নারাজ। বরং বলছেন, “আমাদের দলের জয় কিংবা ভাল ফল হলে কেউ ইতিবাচক কথা বলে না। কিন্তু একটা ম্যাচ হারলেই খুঁত বের করা শুরু হয়ে যায়। এটা কাম্য নয়।”
এদিকে খালিদের তত্ত্বাবধানে নর্থ-ইস্টে যেন নবজাগরণ ঘটে গিয়েছে। এই ভারতীয় দায়িত্ব নেওয়ার পর দল গত ৯ ম্যাচ হারেনি। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে বিপক্ষকে শুরু থেকেই উড়িয়ে দিয়েছে। তাই তো হাবাস তাঁর প্রতিপক্ষ নিয়ে অতি সাবধানী। বলছিলেন, “গত বার ওদের কাছে হারতে হয়েছিল। তবে এই ম্যাচ নতুন হলেও আমাদের সাবধান থাকতে হবে। কারণ খালিদ খুবই বুদ্ধিমান ও নর্থ- ইস্টের সব বিভাগে একাধিক ভাল ফুটবলার আছে।”
তাঁর দল প্রথমবার প্লে-অফ খেলতে নামছে। যদিও এত দূর এসে খালিদও খালি হাতে ফিরতে রাজি নন। ভিপি সুহের, মাচাডো, গ্যালাগো, ব্রাউনের সঙ্গে দারুণ ফুটবল খেলছেন মাপুইয়া। তাই খালিদ যে আক্রমণাত্মক মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসবেন না, সেটা বুঝিয়ে দিলেন। বললেন, “ছেলেদের লড়াইয়ের জন্য দল নক-আউটে এসেছে। জানি ওরাও অনেক অভিজ্ঞ। একাধিকবার নক-আউট খেলেছে। তবে আমরা নিজেদের শক্তি অনুযায়ী খেলব।”