প্লে-অফের যাওয়ার আশা ক্ষীণ। তবুও সুনীলদের বিরুদ্ধে জিততে মরিয়া ফাওলার। ফাইল চিত্র।
লাল হলুদ দলের জন্য ভবিষ্যতে অনেক পরিকল্পনা আছে। তবে আপাতত প্লে-অফে যাওয়ার আশা ক্ষীণ। তাই পরিকল্পনাগুলো দূরে সরিয়ে রেখে বরং এই মুহূর্তে সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসিকে নিয়েই ভাবছেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচ। সেটা মেনেও নিলেন রবি ফাওলার। ম্যাচের আগে ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন, “দলের উন্নতির জন্য মাথায় অনেক ভাবনাচিন্তা আছে। অঙ্কের বিচারে প্লে-অফে যাওয়া বেশ কঠিন। তাই এই ম্যাচটা নিয়েই ভাবছি ও জিততে চাই। জিতলে ভাল, সেটা না হলে এর পরের ম্যাচটা জেতার কথা ভাবনাচিন্তা করব।”
দুটো দলের পারফরম্যান্স এবার বেশ খারাপ। লিগ তালিকায় চোখ রাখলেই সেটা স্পষ্ট হয়ে যায়। ১৪ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ৭ নম্বরে ভারত অধিনায়কের দল। অন্যদিকে লাল হলুদের অবস্থান সেই ১০ নম্বরে। ১৪ ম্যাচ খেলে ঝুলিতে মাত্র ১৩ পয়েন্ট। যদিও দুদলের লড়াইয়ের ইতিহাস কিন্তু লাল হলুদকেই এগিয়ে রাখছে। আইএসএল, আই লিগ ও ফেডারেশন কাপে সুনীল ছেত্রী, গুরপ্রিত সিংহ সান্ধুরা এখনও পর্যন্ত ১১বার লাল-হলুদের মুখোমুখি হয়েছেন। এর মধ্যে ইস্টবেঙ্গল ৭-৪ ব্যবধানে এগিয়ে। গত ৯ জানুয়ারি মাঠি স্টেনম্যানের গোলে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। শেষ আট ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি নৌসাদ মুসার দল। যদিও ফাওলার সেই ম্যাচের নিরিখে নিজেদের ফেভারিট বলতে রাজি নন। বললেন, “ওদের অবস্থাও ভাল নয়। চলতি আইএসএলে আমরাও এমন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। যদিও বেঙ্গালুরুর অন্তর্বর্তীকালীন কোচ চেষ্টা করছে। লিগের এই অবস্থায় প্রতিটি দল একে অপরকে হারাতে পারে। তাই নিজেদের ফেভারিট বলতে রাজি নই।”
ব্রাইট এনোবাখারে দলে আসার পরে পারফরম্যান্সে কিছুটা উন্নতি হলেও গোল হাতছাড়া করার পুরনো রোগ সারেনি। সেটা স্বীকার করছেন লিভারপুল লেজেন্ড। তাঁর প্রতিক্রিয়া, “আমরা অনেক সুযোগ তৈরি করেছি। তাই ফলাফলে এর প্রতিফলন ঘটেনি। আর তাই সবাই আমাদের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন। বলা হয়েছে আমরা একজন প্রকৃত স্ট্রাইকারের অভাবে ভুগছি। কিন্তু কিছু করার নেই। কোনও ফুটবলার মিস পাস ও গোল হাতছাড়া করার জন্য মাঠে নামে না। তাই আমি ছেলেদের জন্য সন্তুষ্ট।”
এদিকে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে নামার আগে দুই ভারতীয় ফুটবলার সার্থক গলুই ও সৌরভ দাসকে দলে নিল ইস্টবেঙ্গল। ডিফেন্ডার সার্থক ও মিড ফিল্ডার সৌরভ চলতি মরসুমে মুম্বই সিটি এফসিতে ছিলেন।