isl

ভবিষ্যতে এগোনোর রসদ পেয়ে গেলেন হাবাস, কৃষ্ণ

এবারও ফের ত্রাতা সেই ফিজি তারকা। আর তাই এই ম্যাচ জিতে রীতিমতো হুঙ্কার দিলেন হাবাস ও তাঁর প্রধান সৈনিক কৃষ্ণ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৩:৪০
Share:

এক ফ্রেমে দুই গোলদাতা। রয় কৃষ্ণ ও মার্সেলো পেরেইরা। ছবি - আইএসএল

এ যেন আইএসএলের উদ্বোধনী ম্যাচের রিমেক। গত ২০ নভেম্বর রয় কৃষ্ণর গোলে সেই ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সকে ১-০ হারিয়ে দেয় সবুজ মেরুন। এবারও ফের ত্রাতা সেই ফিজি তারকা। ৫৮ মিনিট পর্যন্ত ০-২ গোলে পিছিয়ে থাকার পরেও দাপুটে প্রত্যাবর্তন। রবিবার ফতোরদা স্টেডিয়ামে কেরালা ব্লাস্টার্সকে ৩-২ গোলে হারায় এটিকে মোহনবাগান। শেষ ২৮ মিনিটের মধ্যে তিনটি গোল করে জয় ছিনিয়ে নেয় আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাসের দল। দুই স্প্যানিশ কোচের দ্বৈরথে এই নিয়ে কিবু ভিকুনাকে দুবার হারালেন হাবাস। ফলে ১৪ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার দুই নম্বরেই রয়ে গেল সবুজ মেরুন। শীর্ষে থাকা মুম্বই সিটি এফসির থেকে তাদের পয়েন্টের ফারাক মাত্র তিন। সম সংখ্যক ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে মুম্বই। আর তাই এই ম্যাচ জিতে রীতিমতো হুঙ্কার দিলেন হাবাস ও তাঁর প্রধান সৈনিক কৃষ্ণ।

Advertisement

এমন রুদ্ধশ্বাস জয়ের পর ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে হাবাস বলেন, “এই ফলে আমি তৃপ্ত। প্রথমার্ধে আমরা তেমন ভাল খেলতে পারিনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ছেলেরা দারুণ লড়াই করল। বিশেষ করে শেষ ২৮ মিনিট তো অবিশ্বাস্য ফুটবল খেলেছে। ভবিষ্যতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এই জয় রসদের জোগান দেবে। আমার মতে এই জয়টা অবশ্যই আমাদের প্রাপ্য ছিল।”

১৪ ও ৫১ মিনিটে গ্যারি হুপার ও কোস্তা নহামোয়নেসুর গোলে এগিয়ে যায় ব্লাস্টার্স। সবুজ-মেরুন জার্সিতে প্রথম মাঠে নামেন হোসে ব্যারেটোর দেশের স্ট্রাইকার মার্সেলো পেরেইরা। তিনি ৫৯ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন। ৬৫ মিনিটে পেনাল্টি ও ৮৭ মিনিটে গোল করে দলকে তাদের আট নম্বর জয় এনে দেন রয় কৃষ্ণ। চলতি প্রতিযোগিতায় ৯টি গোল করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন এই স্ট্রাইকার। তাঁর পায়ের জাদুতে এগিয়ে চলেছে দল। যদিও কৃষ্ণ কিন্তু দলগত লড়াইকে এগিয়ে রাখছেন। তাই বলেন, “একজন স্ট্রাইকারের কাজ গোল করা। সেটাই করছি। আমি একাধিক গোল করলেও সেই গোলগুলোর নেপথ্যে সতীর্থদের অবদান আছে। তাই এই সাফল্য সবার। আমাদের দলে সেই একতা আছে বলেই চাপের মুখেও বারবার প্রত্যাবর্তন করি।”

Advertisement

দু’গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পর তাঁর দল তিন গোল দিয়ে ম্যাচ জেতে। এই ঘটনা কোচের কাছে কিছুটা অপ্রত্যাশতিই। হাবাস বলেন, “আমার হাতে এমন দল নেই যে, প্রতি ম্যাচে ৪-৫টা করে গোল করে ম্যাচ জিতবে। তা ছাড়া ড্র করার থেকে ১-০ গোলে ম্যাচ জেতা আমার বেশি দরকার। এক গোল দিয়ে যদি তিন পয়েন্ট পাওয়া যায়, তা হলে সেটাই আমার জন্য যথেষ্ট।”

ওডিশা এফসি থেকে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার মার্সেলো পেরেইরাকে নিয়ে এসেছেন হাবাস। সবুজ মেরুন জার্সি গায়ে প্রথম মাঠে নেমেই গোল পান মার্সেলো। চলতি মরশুমে এর আগে ওডিশার হয়ে আটটি ম্যাচ খেলেও গোল পাননি। তাই তাঁকে ছেড়ে দেয় ওডিশা। তবে তাঁর পারফরম্যান্সে খুশি হাবাস। তিনি বলেন, “মার্সেলিনহোকে সেরা ফর্মে দেখতে চাই। এটাই আমাদের ভাবনা। ওকে আরও সময় দিতে হবে। তাহলেই বাড়বে আত্মবিশ্বাস। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য এই গোলটা খুব দরকার ছিল।” কঠিন সময় এখন অতীত। সেটা দ্রুত ভুলতে চান মার্সেলো। বলছেন, “অবশেষে স্বস্তি পেলাম। গত দুটো মাস খুব খারাপ গিয়েছে। তবে এবার সামনের দিকে তাকাতে চাই।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement