জামশেদপুরকে হারাতে আত্মবিশ্বাসী মার্সেলিনহোরা। ছবি টুইটার
বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে জয় পাওয়ার পর লিগের শীর্ষে ওঠার লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। রবিবার জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে বৃহস্পতিবার থেকে অনুশীলন শুরু করল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। বুধবার অনুশীলনে ছুটি দিয়েছিলেন আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস।
এটিকে মোহনবাগানের জার্সি গায়ে চাপিয়ে তিন ম্যাচে খেলতে নেমেই দু’গোল করে ফেলেছেন মার্সেলিনহো। এটিকে মোহনবাগানের মিডিয়া টিমের মুখোমুখি হয়ে ব্রাজিলীয় ফুটবলার বলেন, ‘‘বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে আমরা জয় পাব, এটা জানতাম। আমি বিশ্বাস করি আমাদের দলের যা ক্ষমতা এবং শক্তি, তাতে ভারতের যে কোনও দলকে হারানোর ক্ষমতা রাখি আমরা। এখন আমাদের প্রথম লক্ষ্য জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতা।’’
বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে অসাধারণ ফ্রিকিকে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। সেই গোল নিয়েও উচ্ছ্বসিত মার্সেলিনহো। তিনি বলেন, ‘‘গুরপ্রীত ভারতের সেরা গোলরক্ষক। ওর বিরুদ্ধে প্রথম গোল করলাম আমি। আমি খুব খুশি ও তৃপ্ত এই গোলটা করতে পেরে। ম্যাচের পর আমি ওর সঙ্গে গোলটা নিয়ে কথাও বলেছি। বেশ কিছুটা সময় আমরা হাসি ঠাট্টাও করেছি।’’
সুনীলদের হারিয়ে ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়েছেন এই স্ট্রাইকার। সেই পুরস্কার কোচ হাবাসকে উৎসর্গ করছেন তিনি। মার্সেলিনহো বলেন, ‘‘গত এক সপ্তাহে বারবার সেটপিস অনুশীলন করিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে ফ্রিকিক। গত তিন ম্যাচে দু’গোল করতে পেরেছি। সেটা অনুশীলনে পরিশ্রমের ফসল। কোচ আমাদের উপর আস্থা রেখেছেন। সতীর্থরাও আমায় সাহায্য করেছে।’’
বেঙ্গালুরু ম্যাচের আগে সেভাবে বিশ্রামের সুযোগ পাননি এটিকে মোহনবাগান ফুটবলাররা। তবে তা নিয়ে বিশেষ চিন্তিত ছিলেন না মার্সেলিনহো। তিনি বলেন, ‘‘সত্যি বলতে কী, মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে খেলতে হয়েছে বলে আমরা খুব চিন্তিত ছিলাম, এমনটা নয়। তবে ভাল ঘুম, বিশ্রাম আমাদের সবাইকে চাঙ্গা করে রেখেছিল। আমাদের পরের ম্যাচ জামশেদপুরের বিরুদ্ধে। আরও একটা কঠিন ম্যাচ আমাদের জন্য। এই মাসে আমাদের আরও ম্যাচ রয়েছে। সব ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলের শীর্ষে ওঠাই আমাদের লক্ষ্য।’’