আইএসএলে ভারতীয় দুই কোচ খালিদ জামিল ও নওসাদ মুসা ছবি টুইটার
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ১১টি দলের মধ্যে ২টি দলে রয়েছেন ভারতীয় কোচ। বেঙ্গালুরু এফসির কোচ হয়েছেন নওসাদ মুসা ও নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের কোচ খালিদ জামিল। তবে মরসুমের শুরুতে এই দুই দলেও বিদেশি কোচ ছিলেন। বেঙ্গালুরুর হয়ে কোচিং করাচ্ছিলেন কার্লোস কুয়াদ্রাট আর নর্থ ইস্টের কোচ ছিলেন জেরার্ড নুস। দুজনেই দায়িত্ব ছাড়েন লিগের মাঝেই। দুই ভারতীয় কোচ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ভাল ফল করতে শুরু করেছে এই দুই দল। লিগ টেবিলের এক নম্বরে থাকা মুম্বই সিটি এফসি ও দু নম্বরে থাকা এটিকে মোহনবাগানকে হারায় খালিদ জামিলের দল। ১৬ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আছে তারা। ছয় নম্বরে আছে বেঙ্গালুরু এফসি। ১৬ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে। এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ফিরতি খেলায় ২-০ গোলে জয় পেয়েছে নওসাদ মুসার দল।
আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে কথা বললেন এই মুহূর্তে আইএসএলের দুই ভারতীয় কোচ। নওসাদ মুসা বলেন, ‘‘ভারতে অনেক ভাল ভাল কোচ রয়েছেন। তবে এই ধরনের বড় মঞ্চে কোচিং করতে গেলে ব্যক্তিত্ব থাকা খুব জরুরি। শুধু তাই নয়, ফুটবলারদের সম্মান আদায় করতে হবে। এই লিগে প্রচুর তারকা ফুটবলার খেলে। তাদের নিয়ে দল পরিচালনা করতে পারা খুব জরুরি। আমি ভারতীয় কোচদের সঙ্গে বিদেশিদের তেমন পার্থক্য দেখতে পাই না। একজন ভাল মানের স্ট্রাইকার থাকলে আমরা আরও ভাল জায়গায় থাকতে পারতাম।’’ বেঙ্গালুরু এফসি দলে অনেক তরুণ ফুটবলার খুব ভাল খেলছেন। দীর্ঘদিন ধরে বেঙ্গালুরু এফসি-র ইয়ুথ ডেভলপমেন্টের সঙ্গে যুক্ত থাকা মুসা আরও বলেন, ‘‘আমাদের দলে নতুন ছেলেরা ভাল খেলছে। কারণ আমাদের দলে খাবরা, সুনীল, গুরপ্রিতদের মতো ফুটবলাররা নিয়মিত এই তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতে থাকে। আমার কাজটা তাই সহজ হয়ে যায়।’’
নর্থইস্ট কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘‘ভারতীয় কোচেরা ভাল কাজ করছেন। এটা আমাদের কাছে দারুণ সুযোগ। আমি খুব খুশি মুসা কোচ হিসেবে কাজ করায়। আমার মনে হয় আরও অনেক কোচ এভাবেই উঠে আসবেন এবং আইএসএলের মঞ্চে কোচিং করাবেন।’’ তবে বড় মঞ্চে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও কোচিং করিয়েছেন খালিদ। ইস্টবেঙ্গলকে আই লিগ এনে দিতে না পারলেও কলকাতা লিগে চ্যাম্পিয়ন করেছেন। সেই মরসুমে দলকে সুপার কাপের ফাইনালেও তুলেছিলেন তিনি। এর আগে আইজল এফসি কোচ হিসেবে আই লিগও জিতেছিলেন তিনি। মোহনবাগানেও কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন খালিদ। কলকাতার দুই ক্লাবে কোচিং করানোর সময় থেকেই রক্ষণাত্মক কোচের তকমা লেগে গিয়েছিল খালিদের গায়ে। তবে সেসব নিয়ে ভাবতে রাজি নন তিনি। খালিদ বলেন, ‘‘ফুটবলে আক্রমণ, রক্ষণ দুই থাকে, পরিস্থিতি অনুযায়ী রণনীতি বদলে নিতে হয়। তিন পয়েন্টটাই আসল।’’