আইএসএল থেকে বিদায় নিয়ে দেশের দিকে রবি ফাওলার। ফাইল চিত্র
দেশে ফেরার জন্য বিমানের টিকিট আগের থেকেই কাটা ছিল। শুধু বিমানে চেপে বসার অপেক্ষা। তবে রবিবার সন্ধেবেলা গোয়া থেকে বিমান ধরার আগে লাল-হলুদকে একরাশ লজ্জা উপহার দিয়ে গেলেন দলের প্রধান কোচ রবি ফাওলার। জোড়া ডার্বি হার সবচেয়ে বড় আঘাত হলে, খারাপ ফলের শেষতম সংযোজন ছিল তালিকার শেষে থাকা ওডিশা এফসি-র কাছে ৫-৬ গোলে হার। দলকে একাধিক ব্যর্থতা ও নিজে একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়ে এ বার নিজের দেশে রওনা হলেন লিভারপুল কিংবদন্তি ও তাঁর প্রিয় বন্ধু টনি গ্রান্ট। অবশ্য ফাওলার একা নন, মুম্বই থেকে ইংল্যান্ড যাওয়ার বিমানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন অ্যান্টনি পিলকিংটন, জ্যাক মাঘোমা, ব্রাইট এনোবাখারে, অ্যারণ আমাদি, স্কট নেভিল।
গোয়ার টিম হোটেলে আপাতত রয়ে গেলেন ড্যানি ফক্স ও মাঠি স্টেনম্যান। এই দুই বিদেশি সোমবার দেশের উদ্দেশে রওনা দেবেন। ফাওলারদের সঙ্গে মিজো ব্রিগেড রবিবার বাড়ির দিকে রওনা হয়েছে। সোমবার কলকাতায় ফিরবেন দেবজিৎ, রফিক, সুব্রত পালরা। শতবর্ষে পা রেখে আইএসএল খেলা ইস্টবেঙ্গলের কাছে গৌরবময় অধ্যায় হলে, এসসি ইস্টবেঙ্গলকে লিগ তালিকার ৯ নম্বরে রেখে দেশে ফেরা নিশ্চিত ভাবে কলঙ্কজনক ঘটনা।
যদিও শোনা যাচ্ছে আগামী মরসুমে লাল-হলুদের সঙ্গে শ্রী সিমেন্ট থেকে গেলে রবি ফাওলারই দলের দায়িত্বে থাকবেন। সঙ্গে ফের এই দেশে আসবেন তাঁর সুবিশাল সাপোর্ট স্টাফ, যাদের অবশ্য কোনও ভূমিকা এ বার চোখে পড়েনি। তা যতই ফাওলার ভারতীয় ফুটবলারদের মান নিয়ে কটাক্ষ করুন, তা যতই রেফারিদের বিরুদ্ধে সরাসরি আঙুল তুলে ৪ ম্যাচ নির্বাসিত হোন, তাঁর মোহে এখনও আচ্ছন্ন বিনিয়োগকারী। তাই ফাওলার ফের লাল-হলুদের বেঞ্চে বসলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
এর মধ্যে আইএফএ-র এক আলোচনা সভায় শ্রী সিমেন্টের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। তাহলে কি দুই পক্ষের বরফ গলতে শুরু করল! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্তা বলেন, “যেহেতু আমরা লাল-হলুদের সঙ্গে এখনও যুক্ত, তাই আমাদের প্রতিনিধি আইএফএ-তে গিয়েছিল। তবে আমরা কিন্তু এখনও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়। ক্লাব কর্তারা চূড়ান্ত চুক্তিতে সই করে দিলেই আমরা আগামী মরসুমের কাজ শুরু করে দেব। না হলে এখানেই ইতি।”