Bright Enobakhare

ব্রাইট এসেই বদলে দিয়েছে আমাদের, বলছেন স্টেনম্যান

Advertisement

শুভজিৎ মজুমদার

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:৫৯
Share:

ভরসা: লাল-হলুদের মাঝমাঠের স্তম্ভ এখন স্টেনম্যান। টুইটার

লাল-হলুদ মাঝমাঠের স্তম্ভ তিনি। আক্রমণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, রক্ষণ সামলাচ্ছেন, গোল করে দলকে জেতাচ্ছেনও। ইতিমধ্যেই তিন গোল করে ফেলেছেন অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে জার্মানির হয়ে খেলা ২৫ বছর বয়সি মাঠি স্টেনম্যান। আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচে শুক্রবার লাল-হলুদের প্রতিপক্ষ কেরল ব্লাস্টার্স। প্রস্তুতির ফাঁকেই গোয়া থেকে ফোনে আনন্দবাজারকে সাক্ষাৎকার দিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের ‘মিডফিল্ড জেনারেল’।

Advertisement

দশ ম্যাচে তিন গোলের অনুভূতি: দারুণ লাগছে। গত মরসুমে গোল করার সুযোগ খুব কম পেয়েছিলাম। কারণ, আমাকে অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকতে হয়েছে বিপক্ষের আক্রমণ থামাতেই। এসসি ইস্টবেঙ্গলে কিছুটা উপরের দিকে খেলছি। তাই গোল করার সুযোগও বেশি পাচ্ছি। তবে নিজে গোল করার চেয়েও আমি বেশি আনন্দ পেয়েছি দলকে সাহায্য করতে পেরে।

বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে গোলটাই সেরা: চেন্নাইয়িন এফসি-র বিরুদ্ধে জোড়া গোল করেছিলাম। কিন্তু ম্যাচটা ড্র হয়েছিল। তাই বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে করা গোলটাই এখনও পর্যন্ত সেরা। কারণ, ম্যাচটা আমরা জিতে মাঠ ছেড়েছিলাম।

Advertisement

ঘুরে দাঁড়ানোর রসায়ন: এক দিনে কখনও সাফল্য পাওয়া যায় না। তার জন্য সময় দরকার। এসসি ইস্টবেঙ্গল নতুন দল। ফুটবলার থেকে কোচিং স্টাফ, সকলেই নতুন। তা ছাড়া প্রাক-মরসুম প্রস্তুতিও আমরা ঠিক মতো নিতে পারিনি। তার উপরে জৈব সুরক্ষা বলয়ে হোটেলে বন্দি জীবন কাটানোর যন্ত্রণা তো ছিলই। এই কারণেই শুরু দিকে সাফল্য পাচ্ছিলাম না। পরিস্থিতি খুব কঠিন হয়ে পড়েছিল। এখন ছবিটা অনেকটাই বদলে গিয়েছে। প্রচুর পরিশ্রম করছেন রবি ফাওলার ও অ্যান্টনি গ্র্যান্ট। শেষ পাঁচটি ম্যাচে আমরা অপরাজিত রয়েছি। জিতেছি দু’টিতে। ড্র করেছি তিনটি ম্যাচে। আশা করছি, দ্বিতীয় পর্বে আমাদের জয়ের সংখ্যাটা অনেক বেশি হবে।

ব্রাইট দলের সম্পদ: ব্রাইট এনোবাখারে অসাধারণ ফুটবলার। ও আমাদের দলের সম্পদ। ব্রাইট আসার পরেই আমাদের দলটা বদলে গিয়েছে। ওর জন্য আমাদের কাজও অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। ব্রাইটের অনবদ্য ফুটবলের জন্যই অনেক চাপমুক্ত হয়ে খোলা মনে খেলতে পারছি।

আরও উন্নতি করতে হবে: শেষ ছ’টি ম্যাচে আমরা সকলেই উন্নতি করেছি। সব চেয়ে বড় কথা, একটা দল হিসেবে খেলছি। একে অপরকে সাহায্য করছি। দলের জন্য নিজেদের উজাড় করে দিচ্ছে সকলে। সব ম্যাচেই আমরা উদ্বুদ্ধ হয়ে মাঠে নামছি। তবে এখানেই থামলে চলবে না। আরও উন্নতি করতে হবে। এখনও অনেক দূর যাওয়া বাকি।

নজরে ফিরতি ডার্বি: আইএসএলের প্রথম ডার্বিতে ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিল না বলেই এটিকে-মোহনবাগানের বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিলাম। ১৯ ফেব্রুয়ারি ফিরতি ডার্বিতে ছবিটা বদলে দিতে চাই। আমরা সকলেই এখন এই ম্যাচটা জেতার জন্য মরিয়া হয়ে রয়েছি।

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন: এই মুহূর্তে আমাদের প্রথম লক্ষ্য, লিগ টেবলে প্রথম চারটি দলের মধ্যে থেকে প্লে-অফে যোগ্যতা অর্জন করা। তার পরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য ঝাঁপানো। আশা করছি, আমরা সফল হব। ফুটবলে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়।

কোচই অনুপ্রেরণা: রবি ফাওলার শুধু কিংবদন্তি ফুটবলার বা কোচ নন, অসাধারণ মানুষও। দলের সঙ্গে যুক্ত সকলের সঙ্গেই সমান ভাবে মেশেন। দারুণ ভাবে উদ্বুদ্ধ করেন। ওঁর এক ডাকেই লাল-হলুদে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। রিজার্ভ বেঞ্চে ফাওলারের উপস্থিতি আমাদের প্রতি মুহূর্তে অনুপ্রাণিত করে।

আদর্শ মাইকেল বালাক: জার্মানির জাতীয় দল ও চেলসির হয়ে মিখায়েল বালাকের খেলা আমাকে দারুণ ভাবে অনুপ্রাণিত করত। সেই সময় বালাকই আমার আদর্শ ফুটবলার ছিল। একবার হামবুর্গের একটি শপিং মলে আমার প্রিয় তারকার সঙ্গে দেখাও হয়েছিল। যদিও কথা বলার সুযোগ পাইনি।

রোজ চাই ডাল: গোয়ায় পা দেওয়ার পর থেকেই নানা ধরনের ভারতীয় খাবার খাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে। এর মধ্যে আমার সব চেয়ে ভাল লেগেছে ডাল। এখন তো ডাল ছাড়া আমার এক দিনও চলে না (হাসি)।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement