সেমি ফাইনালে জবিদের মুখোমুখি সুব্রতরা।—ফাইল চিত্র।
এগিয়ে গিয়েও চেন্নাইয়িন এফসি শেষ পর্যন্ত জিততে না পারায় লাভ হল আন্তোনিয়ো হাবাসের দলের। এটিকে-কে শেষ পর্যন্ত নক-আউট পর্বে মুখোমুখি হতে হল না আওয়েন কোয়েলির দলের। যাদের কাছে কয়েকদিন আগে বিধ্বস্ত হয়েছিলেন রয় কৃষ্ণরা।
গুয়াহাটিতে নর্থ ইস্ট বনাম চেন্নাইয়িন ম্যাচের দিকে নজর রাখছিলেন হাবাস। মঙ্গলবার পুরো দলকে ছুটিও দিয়েছিলেন স্পেনীয় কোচ। এটিকে কোচ তো বটেই, প্রীতম কোটাল, প্রবীর দাশ-সহ পুরো দল চোখ রেখেছিলেন লিগের শেষ ম্যাচে। হোটেলে বসেছিলেন টিভির সামনে। শেষ পর্যন্ত খেলার ফলে স্বস্তি ফেরে উইলিয়ামস, কৃষ্ণদের শিবিরে। সেমিফাইনালে এটিকের সামনে পড়ল বেঙ্গালুরু এফসি। অন্য দিকে লিগ টেবলের শীর্ষে থাকা গোয়ার সামনে চার নম্বর দল চেন্নাইয়িন। সুনীল ছেত্রীরা এ বার লিগের দুটি ম্যাচেই জিততে পারেননি কলকাতার বিরুদ্ধে। বেঙ্গালুরুর সঙ্গে এটিকের অ্যাওয়ে ম্যাচ ড্র হয়েছিল, যুবভারতীতে জিতেছিলেন এদু গার্সিয়ারা।
এ দিন ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে গিয়েছিলেন ধনপাল গণেশরা। ১৭ মিনিটে চেন্নাইয়ের দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন মসি সাইঘনি। কিন্তু বিরতির আগে সমতা ফেরান নর্থ ইস্টের মার্টিন চাভেস। তবে পেনাল্টি থেকে। গুয়াহাটির দলের নিথোই সিংহকে নিজেদের বক্সে ফেলে দেন চেন্নাইয়ের টোনদোম্বা সিংহ। রেফারি প্রাঞ্জল বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে সঙ্গে লালকার্ড দেখান টোনদোম্বাকে। প্রায় সাতচল্লিশ মিনিট দশ জনে খেলেন করণজিৎ সিংহরা। দ্বিতীয়ার্ধের ৭১ মিনিটে জন আব্রাহামের দলকে এগিয়ে দেন মার্টিম চাভাস। অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে চেন্নাইয়ের নিশ্চিত হার বাঁচান লালানজুয়ালা চাংতে। তাতে অবশ্য গোয়াকে এড়াতে পারেনি চেন্নাই।