অনুশীলনে এটিকে-মোহনবাগান। -নিজস্ব চিত্র।
প্রথম তিন ম্যাচে জয়। তারপর হঠাৎ কীরকম নিষ্প্রভ এটিকে মোহনবাগান। চতুর্থ ম্যাচে হারতে হয়েছে। আগের ম্যাচে ড্র। তবু চিন্তিত নন এটিকে মোহনবাগানের ফুটবলাররা। গত বছরও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আগে পাঁচ ম্যাচে ১০ পয়েন্টই ছিল এটিকে বাগানের।
আগের ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে দুর্দান্ত গোল করেও দলকে জেতাতে না পারার আক্ষেপ এখনও যাচ্ছে না মনবীর সিংহর। বলেন, ‘‘ডার্বিতে গোল করার থেকেও হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ওই গোলটা করে বেশি আনন্দ পেয়েছিলাম। তবে আমার ভুলেই ওরা পেনাল্টি পায় এবং ম্যাচ ড্র হয়ে যায়। কিন্তু অনেকেই বলছেন, ওটা পেনাল্টি ছিল না। তবে যেটা হয়ে গিয়েছে সেটা নিয়ে ভেবে লাভ নেই। সবাই এখন গোয়া ম্যাচ জেতার জন্য মরিয়া। জয়ে ফিরতেই হবে। গোয়া কিন্তু ভাল দল। ওদের খেলা দেখেছি।’’
আরেক ফুটবলার কার্ল ম্যাকহিউ বলেন, ‘‘ভাল শুরু করেও শেষ দুটো ম্যাচে আমরা প্রত্যাশিত ফল পাইনি। কিন্তু আমরা ভেঙে পড়ছি না। এত লম্বা লিগে চড়াই-উতরাই থাকবেই। তাই আমরা ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাইছি। গোয়া দলে দেশি, বিদেশি মিলিয়ে বেশ কয়েকজন ভাল ফুটবলার আছে। ওরা ভাল দল। তবে আমাদের আক্রমণভাগ যেকোনও রক্ষণকে ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।’’
আরও পড়ুন: ফুটছে ইস্টবেঙ্গল, আইএসএলে সামনে হায়দরাবাদ
প্রীতম কোটালও একই কথা বলছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘লিগে ওঠা নামা থাকবেই। তাছাড়া এমন কিছু হয়নি যে, আমরা বিরাট বিপদে পড়ে গিয়েছি। গোয়ার বিরুদ্ধে আমরা জয়ে ফিরবই। নিজেদের খেলাটা ঠিক মতো খেলতে পারলেই আমরা গোয়া ম্যাচ জিতে যাব।’’
মনবীরের গোল পাওয়াটা বিরাট ইতিবাচক দিক, মনে করছেন শুভাশিস বসু। বলেন, ‘‘হায়দরাবাদ ম্যাচ জিতেত না পারলেও আমরা যথেষ্ট ভাল খেলেছি। অনেক বেশি গোলের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। রয় কৃষ্ণর পাশাপাশি মনবীরের গোল পাওয়াটা আমাদের জন্য খুব বড় দিক।’’