গোলের পর রয় কৃষ্ণ।
জামশেদপুরের কাছে হার এবং হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ড্রয়ের পরে এফসি গোয়াকে হারিয়ে জয়ের রাস্তায় ফিরেছে এটিকে-মোহনবাগান। আর এই জয় বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে নামার আগে আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাসের দলকে প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে জেতান রয় কৃষ্ণ।
তবে খেলার শেষ বাঁশির কিছু আগে মোহনবাগানের রক্ষণে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিলেন এডু বেড়িয়া। অরিন্দম সেই যাত্রায় দলকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেন। তার জন্য প্রশংসিত হচ্ছেন এটিকে-মোহনবাগান গোলরক্ষক।
অরিন্দম বলছেন, “শেষ মুহূর্তে একটা ভাল গোল বাঁচিয়েছি বলেই দল জিতেছে। এ জন্য অনেকেই আমাকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন। সেটা ভাল লাগছে ঠিকই। কিন্তু গোল অক্ষত রেখে ড্রেসিং রুমে ফেরাটাই যে কোনও কিপারের কাছে চ্যালেঞ্জ থাকে। আমি সেটাই করেছি। এটাই তো আমার কাজ। না হলে আর চ্যাম্পিয়ন টিম কেন আমাকে দলে রাখবে?”
আরও পড়ুন: রাহানের ডাকে শতরান হাতছাড়া বিরাটের, ব্যাকফুটে ভারত
এটিকে-মোহনবাগান জিতলেও অনেকেই দলের অতি রক্ষণাত্মক নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অরিন্দম মানছেন না তাঁরা রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলেছেন। যুক্তি দিয়ে অভিজ্ঞ গোলকিপার বলছেন,“ ডিফেন্সিভ খেলা আর ট্যাকটিক্যাল গেমের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। গোয়ার বিরুদ্ধে আমাদের লক্ষ্যই ছিল মাঝমাঠে ওদের আটকে দিয়ে হতোদ্যম করে দেওয়া। হতাশ করে দেওয়া। তার পর সুযোগ এলেই পাল্টা আক্রমণে গোল করা। তাতে আমরা সফল।”
এটিকে-মোহনবাগানের সামনে এ বার বেঙ্গালুরু। সেই প্রতিপক্ষ প্রসঙ্গে অরিন্দম বলছেন, “বেঙ্গালুরুকে গতবারের মতো শক্তিশালী দেখাচ্ছে না। সুনীল ছেত্রীরা এখনও সেরকম খেলেনি। তা বলে ওদের কম গুরুত্ব দেওয়ার কোনও কারণই নেই। গোয়াকে হারিয়েছি, আমাদের রক্ষণ যা খেলছে, তাতে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধেও নিজেদের গোল অক্ষত রাখতে পারব, এ ব্যাপারে একশো শতাংশ আশাবাদী আমি।”
এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের সেরা হয়েছেন কার্ল ম্যাকহিউ। এখনও পর্যন্ত ৬টি ম্যাচের মধ্যে ২টিতে ম্যাচের সেরা হয়েছেন তিনি। ম্যাকহিউ বলছেন, “৬ ম্যাচে দু'বার ম্যাচের সেরা হয়েছি। এতে আমার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। নিজের ফর্মে এখনও পর্যন্ত খুশি। এটা ধরে রাখতে হবে।” সুনীলকে সমীহ করছেন ম্যাকহিউ। সেই ম্যাচে ভারত অধিনায়ককে যে কড়া নজরে রাখা হবে সে ব্যাপারে এখন থেকেই নিশ্চিত করে বলে দেওয়া যায়। ম্যাকহিউও সে রকমই ইঙ্গিত দিয়েছেন, “সুনীল ছেত্রী ভারতীয় ফুটবলের শুভেচ্ছা দূত। বড় মাপের ফুটবলার। ওর উপর তো নজর রাখতেই হবে।”