ছবি: সংগৃহীত।
তিন ম্যাচ টানা জয়ের পরে জামশেদপুরের কাছে হার! লম্বা লিগে এই হার একটা শিক্ষা বলে মনে করছেন এটিকে-মোহনবাগান দলের স্পেনীয় কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস। তাঁর কথায়, ‘‘এটি একটি দুর্ঘটনা। জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ছেলেরা অনেক ভুল করেছে। সেগুলো দ্রুত শুধরে ফেলতে হবে। প্রতিযোগিতার শুরুতেই এই ভুলভ্রান্তি ধরা পড়া ছেলেদের কাছে শিক্ষা।’’
আইএসএলে সবুজ-মেরুন দলের পরবর্তী প্রতিপক্ষ সুব্রত পালদের হায়দরাবাদ এফসি। যাদের হারাতে পারেনি জামশেদপুর এবং বেঙ্গালুরু এফসি-র মতো শক্তিশালী দুই দল। তিন ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিজ়ামের শহরের ফুটবল ক্লাবের।
মঙ্গলবার সকালেই রয় কৃষ্ণ, মনবীর সিংহদের অনুশীলনে ডেকেছিলেন হাবাস। সেখানে হারের ধাক্কা সামলে তিনি ছিলেন শান্ত মেজাজেই। প্রথামাফিক ফুটবলারদের ম্যাচ পরবর্তী শারীরিক পরিচর্যা করানোর পরে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে দলের কী ভুল-ত্রুটি হয়েছে, তা চিহ্নিত করে সমাধান বাতলানোর উপায় দলের ফুটবলারদেরই ভাবতে বলেছেন হাবাস। বুধবার থেকে এটিকে-মোহনবাগান কোচ শুরু করবেন হায়দরাবাদ ম্যাচের মহড়া। সেখানেই ছেলেদের বক্তব্য শোনার পরে হাবাস নিজে ফুটবলারদের জানাবেন, দ্রুত ভুল শুধরে নেওয়ার জন্য কী কী করতে হবে।
প্রীতম কোটালদের কোচ মনে করিয়ে দেন, প্রথম গোলের সময় কী ভাবে নিজেকে অরক্ষিত করে হেড নিয়েছিলেন ভাল্সকিস। আর দ্বিতীয় গোলের সময় কী ভাবে এটিকে-মোহনবাগান বক্সে ডিফেন্ডারেরা ছেড়ে রেখেছিলেন গোলের বল বাড়ানো মোবশির এবং গোলদাতা ভাল্সকিসকে।
হারের জেরে ফুটবলারদের ছন্দ যাতে নষ্ট না হয়, তার জন্য ছেলেদের মনোবল অটুট রাখতে উদ্যোগী হাবাস। জামশেদপুর যে তাঁর দলকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছিল, সেটা মানেন না তিনি। আওয়েন কয়েলের প্রশিক্ষণাধীন দলের বিরুদ্ধে হারের পরে হাবাসের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ভুল তো অবশ্যই কিছু হয়েছে। আমরা দু’টো গোলই খেয়েছি সেট-পিস থেকে। গত বছর সেট-পিস থেকে একটা গোল খেয়েছিলাম। এ বার দু’টো গোল হল। অনুশীলনে এই ত্রুটি সংশোধন করতে হবে।’’
তবে একই সঙ্গে এটিকে-মোহনবাগান কোচ মেনে নিয়েছেন, জামশেদপুরের বিরুদ্ধে জাভি হার্নান্দেস না খেলায় মাঝমাঠের ভারসাম্য অনেকটাই ব্যাহত হয়েছে। জাভির চোট রয়েছে গোড়ালিতে। দ্রুত সেই চোট সারানোর জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজে লেগেছেন দলের ফিজিয়োথেরাপিস্ট। কারণ, জাভি না থাকায় কার্ল ম্যাকহিউয়ের উপরে চাপ বেড়ে গিয়েছিল জামশেদপুর ম্যাচে। এদু গার্সিয়া যা সামাল দিতে পারেননি।