ফুটবলারদের ওপর দোষ চাপালেন টনি গ্রান্ট। ছবি - আইএসএল
এ যেন চলতি আইএসএলে প্রথম ডার্বির পুনরাবৃত্তি। গত ২৭ নভেম্বর ২-০ গোলে প্রথম ডার্বি জিতেছিল এটিকে মোহনবাগান। এবারও ডার্বি যুদ্ধের রঙ সেই সবুজ-মেরুন। ফিরতি ডার্বিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এসসি ইস্টবেঙ্গলকে ৩-১ গোলে হারাল রয় কৃষ্ণর দল। ফলে প্রথমবার জোড়া ডার্বি জিতে অনন্য নজির গড়লেন আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস। আর দলের এমন নির্বিষ পারফরম্যান্স গ্যালারিতে বসে হতবাক হয়ে দেখলেন নির্বাসিত কোচ রবি ফাওলার।
শুক্রবার ফতোরদা স্টেডিয়ামে ব্রাইট এনোবাখারে ছাড়া লাল-হলুদের আর কারও মধ্যে বিন্দুমাত্র তাগিদ চোখে পড়েনি। যদিও ফাওলারের সহযোগী টনি গ্রান্ট মনে করেন তাঁর দলের ফুটবলাররা বিপক্ষের হাতে ম্যাচ তুলে দিয়ে এসেছেন। তাই জোড়া ডার্বি হেরে সুব্রত পাল- রাজু গায়কোয়াড়দের ঘাড়ে দোষ চাপালেন ফাওলারের ‘প্রিয় বন্ধু’।
লাল-হলুদের কাছে হারানোর কিছুই ছিল না। তাই সবাই ভেবেছিলেন সম্মানের ডার্বি জিতে ফাওলারকে ম্যাচ উৎসর্গ করবে দল। কিন্তু কোথায় কী! প্রথমার্ধে কিছুটা লড়লেও দ্বিতীয়ার্ধে অসহায় আত্মসমর্পণ করল দল। তাই ম্যাচের শেষে ক্ষুব্ধ গ্রান্ট সাংবাদিক সম্মলনে বলেন, “একটা ভাল ম্যাচ হয়েছে। দুটো দলই আজ জিততে পারত। কিন্তু প্রথমার্ধে সমতা ফেরানোর পরেও দ্বিতীয় গোল হজম করার কোনও মানে হয় না। এমন গোল হজম করা একেবারে মেনে নেওয়া যায় না। ম্যাচে ওদের দ্বিতীয় গোলেই খেলা ঘুরে গেল।” এর পরেই গ্রান্ট ক্ষোভের সঙ্গে জুড়ে দিলেন, “আগের ম্যাচগুলোতে দল কেমন খেলেছে সেটার কোনও গুরুত্ব নেই। কারণ এটা ডার্বি। কিন্তু আমাদের ফুটবলাররা তো ম্যাচটা ওদের হাতে তুলে দিয়ে এল! আর সেখানেই দলের বাকিদের ছন্দ নষ্ট হয়ে যায়। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।”
জঘন্য ডিফেন্স। তিরি'র গোলে সমতা ফেরানোর পরেও ম্যাচে ফিরতে ব্যর্থ ইস্টবেঙ্গল। ছবি - আইএসএল।
হারের পর স্বভাবতই ড্রেসিংরুমের পরিবেশ বেশ থমথমে। সেটা স্বীকার করে নিলেন টনি গ্রান্ট। তিনি বলেন, “এমন ভাবে হারলে ছেলেদের মন তো ভাঙবেই। আমাদের দলে বেশ কয়েকজন ভারতীয় ফুটবলারের ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতা আছে। এখানে আসার পরে বিদেশি ফুটবলাররাও এই ম্যাচের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে। কিন্তু কী আর করা যাবে। আগামী মরসুমে আমরা থাকলে জেতার অবশ্যই চেষ্টা করব। সেবারও তো আইএসএলে দুটো ডার্বি হবে। আমরা তখন দুটো ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব।”
চূড়ান্ত চুক্তিতে এখনও সই করেননি ক্লাব কর্তারা। ক্লাব বনাম বিনিয়োগকারীদের এই সমস্যা আদৌ কি মিটবে? টনি গ্রান্ট কিন্তু আশার আলো দেখাতে পারলেন না। তাই তো শেষে জুড়ে দিলেন, “দেখি আগামী সপ্তাহের মধ্যে কোনও রফা বেরিয়ে আসে কিনা! আসলে ডার্বি প্রতি বছর আসবে। তবে সবার আগে তো ক্লাবকে ভাল ভাবে চালানোর প্রয়োজন।”