আইএসএল

এটিকেকে টপকে লিগ শীর্ষে এখন সুনীলেরা

বুধবার পুণেতে ম্যাচের তিন মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ওড়িশা। কিন্তু গোল লক্ষ্য করে শট নেওয়ার ঠিক আগে নিখুঁত ট্যাকলে নন্দকুমার সেকারের পা থেকে বল কেড়ে নেন বেঙ্গালুরুর ডিফেন্ডার আলবার্ত সেরান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:১৯
Share:

উল্লাস: বেঙ্গালুরুর গোলদাতা খুয়ান। বুধবার। আইএসএল

ওড়িশা ০ • বেঙ্গালুরু ১

Advertisement

খুয়ান আন্তোনিয়ো গঞ্জালেস-গুরপ্রীত সিংহ সাঁধু যুগলবন্দিতে ফের জয়ের সরণিতে বেঙ্গালুরু এফসি। এক জন ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে গোল করে এটিকে-কে টপকে পয়েন্ট টেবলের শীর্ষ স্থানে দলকে নিয়ে গেলেন। আর এক জন গোল পোস্টের নীচে দুর্ভেদ্য হয়ে উঠে বেঙ্গালুরুর পতন রোধ করলেন।

বুধবার পুণেতে ম্যাচের তিন মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ওড়িশা। কিন্তু গোল লক্ষ্য করে শট নেওয়ার ঠিক আগে নিখুঁত ট্যাকলে নন্দকুমার সেকারের পা থেকে বল কেড়ে নেন বেঙ্গালুরুর ডিফেন্ডার আলবার্ত সেরান। মিনিট চারেক পরেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বেঙ্গালুরু। উদান্ত সিংহ বল ভাসিয়ে দিয়েছিলেন ওড়িশা পেনাল্টি বক্সের মধ্যে। কিন্তু বেঙ্গালুরুর কোনও ফুটবলার সেই সময় ছিলেন না। তার অন্যতম কারণ, সুনীল ছেত্রীকে শুরু থেকেই চক্রব্যূহে বন্দি করে রেখেছিলেন ওড়িশার ফুটবলারেরা।

Advertisement

ভারতীয় ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সফল স্ট্রাইকার বল ধরলেই বিপক্ষের একাধিক ফুটবলারে তাঁকে ঘিরে ধরেছেন। গোল লক্ষ্য করে সুনীল প্রথম শট নেওয়ার সুযোগ পয়েছিলেন ২৩ মিনিটে! যদিও তা বিপন্মুক্ত করেন ওড়িশা ডিফেন্ডার দিয়ানদৌ জিয়াগনে।

সুনীল আটকে যেতেই ছন্দ নষ্ট হয়ে যায় বেঙ্গালুরুর। এই পরিস্থিতিতে ম্যাচের ১৫ মিনিটে ফের গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন নন্দকুমার। তাঁর শট গোলে ঢোকার আগে অবিশ্বাস্য দক্ষতায় বাঁচান গুরপ্রীত সিংহ সাঁধু।

বেঙ্গালুরু শিবিরে স্বস্তি ফেরে ৩৬ মিনিটে। এরিক পারতালুর পাস থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন খুয়ান। ৬৩ মিনিটে গুরপ্রীত ফের বেঙ্গালুরুর পতন রোধ করেন। ওড়িশার আরিদানে সান্তানা পাস দেন মার্কোস তেবারকে। তাঁর শট গোলে ঢোকার আগে বাঁচান ভারতীয় দলের গোলরক্ষক। তিন মিনিট পরে তিনি আটকে দেন সিসকো হার্নান্দেসের শট। ম্যাচ শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে শরীর শূন্যে ভাসিয়ে ড্যানিয়েল লালহিমপুইয়ার সমতা ফেরানোর স্বপ্নে কাঁটা ছড়িয়ে দেন সেই গুরপ্রীতই। ম্যাচের সেরাও হন তিনি।

এ দিনের জয়ের ফলে ৭ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের শীর্ষে সুনীলেরা। এক ম্যাচ কম খেলে ১১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেল এটিকে। তৃতীয় স্থানে থাকা জামশেদপুর এফসির পয়েন্টও ৬ ম্যাচে ১১।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement