স্ত্রী অনুষ্কা শর্মার জন্মদিনে সকালেই একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করেছিলেন কোহলি। ছবি: সংগৃহীত।
পুরনো ছন্দে বিরাট কোহলি। না, এবারের আইপিএলে যেখানে ম্যাচের পর ম্যাচে রানের পাহাড় তৈরি হচ্ছে, সেখানে সোমবার ওপেন করতে নেমে কোহলির অবদান ৩০ বলে মাত্র ৩১। কিন্তু লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে গোটা ম্যাচে দেখা গেল সেই পুরনো বিরাট আগ্রাসন।
স্ত্রী অনুষ্কা শর্মার জন্মদিনে সকালেই একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করেছিলেন কোহলি। হয়তো স্ত্রীর জন্মদিনেই কম রানের ম্যাচে সারাক্ষণ উত্তেজিত রাখল তাঁকে। এমনিতে সন্ধ্যাবেলার ম্যাচে টস জিতলেই সব অধিনায়ক চোখ-কান বুজে আগে বল করে নিচ্ছেন। ব্যতিক্রম ছিল এই ম্যাচে। বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর বেঙ্গালুরু যখন ২০ ওভারে ৯ উইকেটে মাত্র ১২৬ রান তোলে, তখন কেউ ভাবেননি কোহলিরা শেষ পর্যন্ত ১৮ রানে জিতবেন।
হয়তো কোহলি নিজেও ভাবেননি। তাই উল্টো দিকে ক্রুণাল পাণ্ড্য, নিকোলাস পুরানরা যখন একের পর এক আউট হয়েছেন, বার বার ধরা পড়েছে উত্তেজিত কোহলিকে। হর্ষাল পটেলের বলে যখন অমিত মিশ্র আউট হলেন, তখন কোহলির সেই আগ্রাসন চরমে পৌঁছয়। প্রথমে টুপি আছড়ে মাঠে ফেলেন। তার পর অনুষ্কার উদ্দেশে চুমু ছুড়ে দেন। পরক্ষণেই মুখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দেন, সবাই চুপ থাকো। এখন কোহলির আস্ফালনের সময়।
কম যাননি অনুষ্কাও। কোহলির সঙ্গে পাল্লা দিতে তিনিও দুটি আঙুল মুখে পুরে শিস মারতে থাকেন। ঘড়ির কাঁটা তখন রাত ১২টার আশপাশে। মধ্যরাতে কোহলির উড়ন্ত চুমু যে রকম অনুষ্কার কাছে পৌঁছে গিয়েছিল, অনুষ্কার শিসের আওয়াজও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়নি।
উত্তেজিত কোহলির আস্ফালনটা সব থেকে বেশি টের পেলেন হয়তো গৌতম গম্ভীর। লখনউ দলের মেন্টরের মুখোমুখি হতেই কোহলির উত্তেজনার ডেসিবেল লাগাম ছাড়ায়। সতীর্থেরা ছুটে এসে সেই উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করেন। কিন্তু তখন নাটকের একচ্ছত্র নায়ক কোহলি। তাঁকে রুখতে হিমশিম খেতে হয় সতীর্থদের।
‘লো স্কোরিং’ ম্যাচে বাকি ৬৯টা রান করে কোহলি তখন শতরানের গর্জনে।