ছন্দে: নেটে আগ্রাসী বিরাট। শনিবার চিন্নাস্বামীতে। ছবি: টুইটার।
দুরন্ত শতরানে ম্যাচ জিতিয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে প্লে-অফের দৌড়ে ফিরিয়ে এনেছেন বিরাট কোহলি। রবিবার, আইপিএলের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আরসিবি নামছে গুজরাত টাইটানসের বিরুদ্ধে। হার্দিক পাণ্ড্যের গুজরাত ইতিমধ্যেই প্লে-অফে পৌঁছে গিয়েছে। প্লে অফের টিকিট নিশ্চিত করতে গেলে শেষ ম্যাচ জিততে হবে কোহলিদের। হারলেও তাঁদের সামনে একটা সুযোগ থাকবে। কিন্তু তখন অঙ্কের নানা হিসেব সামনে চলে আসবে।
এই ম্যাচে কোহলিরা দু’টো সুবিধে পাবেন। প্রথমত, ঘরের মাঠ চিন্নাস্বামীতে খেলা হওয়ার ফলে দর্শক সমর্থনের পাশাপাশি পরিচিত ব্যাটিং উইকেটে খেলার সুবিধে। দ্বিতীয়ত, গ্রুপের শেষ ম্যাচ হওয়া মানে সব রকম হিসেব কষেই মাঠে নামতে পারবেন কোহলিরা।
আরসিবির বড় ভরসা তাদের ওপেনারদের ছন্দ। আগের ম্যাচে সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ১৭২ রানের জুটি গড়েন কোহলি এবং ফ্যাফ ডুপ্লেসি। তিন নম্বরে নামা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও রানের মধ্যে আছেন। তবে মাঝের সারি এবং শেষের দিকের ব্যাটিং চিন্তায় রাখবে আরসিবি দল পরিচালন সমিতিকে।
মাঠে আরসিবির কাজটা আরও কঠিন করে দেওয়ার জন্য থাকবে হার্দিকের দল। বোলিং-ব্যাটিং— দু’বিভাগেই দারুণ ছন্দে গুজরাত। তবে তাদের সামলাতে হবেকিং কোহলিকে।
এ দিন নেট প্র্যাক্টিসেও আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করতে দেখা গিয়েছে কোহলিকে। ঠিক যে ভাবে হায়দরাবাদ বোলারদের শাসন করেছিলেন কিংবদন্তি এই ব্যাটসম্যান। ১৩ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট পাওয়া আরসিবির নেট রানরেটও ভাল। ০.১৮০। গুজরাতকে হারাতে পারলেই তাই প্লে অফে ওঠার সম্ভাবনা বেশি কোহলিদের। নেট রান রেটের হিসেব চলে এলেও তাঁরা মুম্বই এবং রাজস্থান রয়্যালসের চেয়ে এগিয়ে আছেন।
কোহলি যে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছেন, তা বোঝা যায় রিকি পন্টিংয়ের কথায়। দিল্লি ক্যাপিটালসের কোচ আইসিসিকে বলেছেন, ‘‘মাস খানেক আগে আমার সঙ্গে বিরাটের কথা হচ্ছিল। ও বলেছিল, নিজের সেরা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।’’ সেরা ছন্দে থাকা কোহলি আরসিবিকে কত দূর টেনে নিয়ে যেতে পারেন, সেটাই এখন দেখার।