হর্ষিত রানা। ছবি: আইপিএল।
বাবা-মা গ্যালারিতে বসে তাঁর খেলা দেখুন শনিবারের আগে পর্যন্ত চাইতেন না হর্ষিত রানা। তাঁর ধারণা ছিল, বাবা-মার সামনে ভাল খেলতে পারবেন না। তাই কোনও ম্যাচেই বাবা-মাকে আসতে দিতেন না। শনিবার কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে জয় এনে দেওয়ার পর হর্ষিতের ভুল ধারণা ভেঙে গিয়েছে।
ইডেন গার্ডেন্সে সানরাইডার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন হর্ষিত। ৪ ওভার বল করে ৩ উইকেট নিয়েছেন ৩৩ রান খরচ করে। ম্যাচের শেষ ওভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় তিনি আউট করেছেন শাহবাজ় আহমেদ এবং হেনরিক ক্লাসেনকে। তার আগে ময়ঙ্ক আগরওয়ালকে আউট করে প্রতিপক্ষ শিবিরে প্রথম ধাক্কাও দেন দিল্লির ২২ বছরের তরুণ। ইডেনের গ্যালারিতে বসে তাঁর ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স উপভোগ করেছেন তাঁরা বাবা-মা।
২০২২ সালে দিল্লির হয়ে অভিষেক হওয়া হর্ষিত এত দিন একটি ভুল ধারণা নিয়ে চলতেন। বিশ্বাস করতেন বাবা-মার সামনে ভাল পারফর্ম করতে পারবেন না। শনিবার ইডেনে ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স দিল্লির যুবকের সেই ধারণা ভেঙে দিয়েছে। ম্যাচের পর হর্ষিত বলেছেন, ‘‘এই প্রথম বাবা-মা আমার খেলা দেখতে এসেছেন। এর আগে ভাবতাম, বাবা-মার সামনে খেলতে পারব না। আমার পারফরম্যান্স খুব খারাপ হবে।’’ তা হলে এই ম্যাচ দেখার জন্য কেন আসতে বলেছেন তাঁদের? হর্ষিত বলেছেন, ‘‘এই মরসুমে প্রথম ম্যাচ খেলব। তাই মনে হল মরসুমের প্রথম ম্যাচে কেমন খেলি তা বাবা-মা দেখুন।’’
শেষ ওভার করার আগে কি চাপে ছিলেন? হর্ষিত বলেছেন, ‘‘আমার হৃদ্স্পন্দন খানিকটা বেড়ে গিয়েছিল। ক্রিকেটপ্রেমীরা আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন। সে সময় আমাদের হাতে বেশি রান ছিল না। তাই চাপ তো ছিলই।’’ চাপ সামলে দলকে জেতানোর থেকেও হর্ষিত বেশি খুশি বাবা-মার সামনে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে পেরে। তাঁর লক্ষ্য, ইডেনে পাওয়া আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে কেকেআরের জন্য ধারাবাহিক ভাবে অবদান রেখে যাওয়া।