(বাঁ দিকে) সঞ্জীব গোয়েন্কা। কাব্য মারান (ডান দিকে)।। — ফাইল চিত্র।
বুধবারের উপ্পল নানা রং দেখেছে। লখনউ সুপার জায়ান্টসের দেওয়া ১৬৬ রানের লক্ষ্য ৯.৪ ওভারে তুলে নেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দুই ওপেনার ট্রেভিস হেড এবং অভিষেক শর্মা। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ভিন্ন মেজাজে দেখা গিয়েছে লখনউ ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির মালিক সঞ্জীব গোয়েন্কা এবং হায়দরাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির মালকিন কাব্য মারানকে।
আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি মালিকদের মধ্যে হায়দরাবাদের কাব্যের আলাদা জনপ্রিয়তা রয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে। তরুণী মালকিন একাই গ্যালারির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেন। খেলা চলার সময় তাঁর মুখের প্রতিটি অভিব্যক্তি ধরে রাখার চেষ্টা করেন চিত্র সাংবাদিকেরা। আইপিএল সম্প্রচারকারী চ্যানেলও মাঝেমধ্যে কাব্যকে দেখায় টেলিভিশন স্ক্রিনে। বুধবার খেলা শেষেও তিনি নজর কেড়ে নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সকলের। হেড এবং অভিষেকের ব্যাটিংয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত দেখিয়েছে তাঁকে। দাঁড়িয়ে টানা হাততালি দিয়েছেন। চোখ-মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, দলের পারফরম্যান্সে তিনি তৃপ্ত।
অন্য দিকে, নজর কেড়েছেন লখনউয়ের মালিক গোয়েন্কাও। ১০ ওভারের মধ্যে দল হেরে যাওয়ায় মেজাজ হারান তিনি। ম্যাচের পরেই নেমে আসেন মাঠে। বাউন্ডারির ধারে দাঁড়িয়ে রাহুলকে হাত নেড়ে নেড়ে অনেক কিছু বোঝাতে থাকেন। তাঁর আচরণ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল দলের এই হারে তিনি খুশি নন। কিছু কিছু ক্রিকেটারের দিকে হাত দেখিয়ে ইঙ্গিত করতে থাকেন গোয়েন্কা। তাঁর গলার স্বরও বেশ উঁচু ছিল বলে মনে হয়েছে ভিডিয়ো দেখে। গোয়েন্কার দাপটের সামনে রাহুল কিছু বলতেই পারেননি। তিনি চুপচাপ মাথা নীচু করে দাঁড়িয়েছিলেন। গোয়েন্কার কথা শুনছিলেন। পরে কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারকেও বেশ কিছু কথা বলেন। সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মাত্র সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে।
এক দিকে কাব্য প্রশংসিত হয়েছেন। অন্য দিকে গোয়েন্কা সমালোচিত হয়েছেন। একই ম্যাচের পর দু’দলের দুই মালিকের সম্পূর্ণ বিপরীত আচরণ নিয়েও আলোচনা চলছে ক্রিকেট মহলে।