লোকেশ রাহুল। ছবি: আইপিএল।
নেতৃত্বে ইস্তফা দিতে পারেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। আইপিএলের লিগ পর্বের শেষ দুই ম্যাচে সঞ্জীব গোয়েন্কার ফ্র্যাঞ্চাইজ়িকে নেতৃত্ব দিতে পারেন সহ-অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। বুধবার ম্যাচের পর ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি মালিকের ব্যবহারে রাহুল নাকি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে বুধবার লখনউয়ের পরাজয়ের পর মাঠে নেমে এসে রাহুলকে প্রকাশ্যে ভর্ৎসনা করেন দলমালিক গোয়েন্কা। সেই ঘটনার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল রয়েছে। সমালোচনার মুখে পড়েছেন লখনউ ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন উঠেছে গোয়েন্কার আচরণ নিয়ে। প্রকাশ্যে অপমানিত হয়ে রাহুল নেতৃত্বে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। রাহুল নিজে সম্ভবত গোয়েন্কার দলের হয়ে আর খেলতে আগ্রহী নন। অন্য দিকে, আগামী বছর আইপিএলের নিলামের আগে রাহুলকে ছেড়ে দিতে পারে লখনউ ফ্র্যাঞ্চাইজ়িও। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় দলের অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের নেতৃত্বে ইস্তফা দেওয়া সময়ের অপেক্ষা বলে মনে কর হচ্ছে।
আইপিএলে লখনউয়ের পরের ম্যাচ ১৪ মে দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে। তার আগে কয়েক দিন সময় রয়েছে। এর মধ্যেই রাহুল ইস্তফার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে পারেন ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি কর্তৃপক্ষকে। আইপিএলের এক কর্তা বলেছেন, ‘‘দিল্লির বিরুদ্ধে পরের ম্যাচের আগে পাঁচ দিন সময় রয়েছে। কোনও পক্ষই এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। মনে হচ্ছে, রাহুল নেতৃত্বে ইস্তফা দিয়ে দেবে। শেষ দু’টি ম্যাচে আর টস করতে যাবে না। ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি কর্তৃপক্ষও ওর ইস্তফা গ্রহণ করে নেবে বলেই মনে হচ্ছে।’’ উল্লেখ্য, ২০২২ সালে নিলামের আগে রাহুলের সঙ্গে রেকর্ড ১৭ কোটি টাকায় চুক্তি করেছিল লখনউ ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি। বুধবারের ম্যাচের পর রাহুলের সঙ্গে গোয়েন্কার সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্তা।
এ বারের আইপিএলে এখনও পর্যন্ত ১২টি ম্যাচ খেলে রাহুল করেছেন ৪৬০ রান। তাঁর স্ট্রাইক রেট ১৩৬.০৯। বুধবার তিনি ৩৩ বলে ২৯ রান করেন। পাওয়ার প্লের সুবিধা কাজে লাগাতে পারেননি রাহুল। হায়দরাবাদের কাছে হারের ফলে আইপিএলের প্লে-অফে যাওয়ার সম্ভাবনা আরও কঠিন হয়েছে লখনউয়ের। ১৬ পয়েন্টে পৌঁছনোর সুযোগ থাকলেও নেট রান রেটে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে রাহুলের দল। তার উপর হায়দরাবাদ ৯.৪ ওভারে ১৬৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয়। দলের এমন হার দেখে উত্তেজিত গোয়েন্কা ম্যাচ শেষে মাঠে নেমে এসে ভর্ৎসনা করেন রাহুলকে।