লখনউয়ের বিরুদ্ধে চেনা আগ্রাসী মেজাজে দেখা গেল না কোহলিকে। ছবি: আইপিএল।
প্রথমে ব্যাট নিয়েও লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে বড় রান তুলতে পারল না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। লখনউয়ের মাঠে চেনা ছন্দে দেখা গেল না বিরাট কোহলিকেও। লোকেশ রাহুলের দলের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে অস্বস্তিতে দেখাল বেঙ্গালুরুর ব্যাটারদের। লখনউয়ের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরু তুলল ৯ উইকেটে ১২৬ রান।
প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইপিএলে ৭০০০ রান পূর্ণ করতে কোহলির দরকার ছিল ৪৩ রান। সোমবার লখনউয়ের বিরুদ্ধে সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারলেন না কোহলি। ওপেন করতে নেমে ৩০ বলে করলেন ৩১ রান। রবি বিষ্ণোইয়ের বলে আউট হওয়ার আগে তিনটি চার এল তাঁর ব্যাট থেকে। ব্যর্থ হলেন তিন নম্বরে নামা অনুজ রাওয়াত (৯) এবং চার নম্বরে নামা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও (৪)। দলকে ভরসা দিতে পারলেন না পাঁচ নম্বরে নামা সুযশ প্রভুদেশাই (৬)। ধারাবাহিক ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বেঙ্গালুরুর ইনিংস। অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি ২২ গজের এক দিন আগলে রাখলেও আগ্রাসী হতে পারলেন না।
ঘন ঘন বোলার পরিবর্তন করলেন ক্রুণাল পাণ্ড্য। কারণ দ্বিতীয় ওভারের ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। ক্রুণালের কৌশলের ফলে বেঙ্গালুরুর ব্যাটাররা উইকেটে থিতু হওয়ার সুযোগ পেলেন না। যা আরসিবির রান তোলার গতি আরও কমিয়ে দেয়। বেঙ্গালুরুর ইনিংসের ১৫ ওভার ২ বল হওয়ার পর বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ রাখতে হন আম্পায়াররা। মিনিট ২৫ পর খেলা শুরু হলে বেঙ্গালুরুর ব্যাটাররা আগ্রাসী মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেন। কিন্তু তাতেও বিশেষ লাভ হল না। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারানো বন্ধ হল না তাঁদের। ডুপ্লেসি ৪০ বলে ৪৪ রান করে উইকেট ছুড়ে দিলেন অমিত মিশ্রর বলে। রান পেলেন না মাহিপাল লোমরোর (৩)। কিছুটা চেষ্টা করলেও আগের মরসুমের ছন্দে দেখা যাচ্ছে না দীনেশ কার্তিককে (১৬)। শেষের দিকের ব্যাটাররাও তেমন কিছু রতে পারলেন না।
লখনউয়ের সফলতম বোলার নবীন উল হক ৩০ রানে ৩ উইকেট নিলেন। বিষ্ণোই ২১ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন। ২১ রানে ২ উইকেট অমিতেরও। তবে তিনি বল করেছেন ৩ ওভার।