অধিনায়ক হিসাবে আইপিএলের ১০০০তম ম্যাচ জিতেছেন মুম্বই ইন্ডিয়ানসের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র
আইপিএলের ১০০০তম ম্যাচ জিতে কি নিজের বয়সই ভুলে গেলেন মুম্বই ইন্ডিয়ানসের অধিনায়ক রোহিত শর্মা! ম্যাচ শেষে সঞ্চালক হর্ষ ভোগলের প্রশ্নে অবাক হয়ে যান তিনি। রোহিতের জবাবে হর্ষও খানিকটা অবাক হয়ে যান। যদিও পরে রোহিত জানান, সবটাই মজার ছলে করছিলেন তিনি।
ওয়াংখেড়েতে ২১২ রান তাড়া করে জিতেছে মুম্বই। রবিবারই ছিল রোহিতের ৩৬তম জন্মদিন। ঘরের মাঠে আইপিএলে সব থেকে বেশি রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে তাঁকে জন্মদিনের উপহার দিয়েছেন সতীর্থরা। খেলা শেষে হর্ষ তাঁকে প্রথমেই বলেন, ‘‘৩৬তম জন্মদিনে ম্যাচ জিতলে।’’ জবাবে রোহিত অবাক মুখে বলেন, ‘‘৩৫তম, ৩৬তম নয়।’’ সেটা শুনে আরও খানিকটা অবাক মুখে হর্ষ বলেন, ‘‘আচ্ছা। ওরা আমাকে এক বছর বেশি বলেছিল।’’ তার পরেই অবশ্য হেসে ফেলেন রোহিত। বলেন, ‘‘না না। ৩৬তম জন্মদিনই বটে। আমি মজা করছিলাম।’’
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১২ রান করে রাজস্থান। শতরান করেন যশস্বী জয়সওয়াল। ৬২ বলে ১২৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। আইপিএলের ইতিহাসে সব থেকে কম বয়সে শতরানের নজির গড়েছেন যশস্বী। দেখে মনে হচ্ছিল, এই রান তাড়া করতে পারবে না মুম্বই। কিন্তু শুরুতে ক্যামেরন গ্রিন, মাঝে সূর্যকুমার যাদব ও শেষে টিম ডেভিডের ব্যাট ম্যাচ জেতেন রোহিতরা।
আরও এক বার রিঙ্কু সিংহকে মনে করিয়েছেন ডেভিড। গুজরাত টাইটানসের বিরুদ্ধে শেষ পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা মেরে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে জিতিয়েছিলেন রিঙ্কু। আর আইপিএলের ১০০০তম ম্যাচে তিন ছক্কা মেরে মুম্বই ইন্ডিয়ানসকে জিতিয়েছেন ডেভিড। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৭ রান। জেসন হোল্ডারের প্রথম তিন বলেই খেলা শেষ করে দেন ডেভিড। এই প্রথম ওয়াংখেড়েতে ২০০-র বেশি রান তাড়া করে জিতেছে কোনও দল। শুরুটা যদি সূর্যকুমার যাদব করে থাকেন তা হলে শেষটা করেছেন ডেভিড। রোহিতের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন তিনি।