সোমবার ইডেনে ম্যাচের অধিনায়কের সামনে রিঙ্কু খোলসা করলেন নিজের পরিকল্পনা। ছবি: আইপিএল
নীতীশ রানা শেষ বার যখন রিঙ্কু সিংহের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন, তখন আমদাবাদে শেষ ওভারে পাঁচটি ছক্কা মেরে দলকে জিতিয়েছিলেন রিঙ্কু। আবার কেকেআর অধিনায়ককে দেখা গেল সতীর্থের সাক্ষাৎকার নিতে। এ বারও রিঙ্কুর ব্যাটেই দলের জয় এসেছে। সোমবার ইডেনে ম্যাচের অধিনায়কের সামনে রিঙ্কু খোলসা করলেন নিজের পরিকল্পনা। একইসঙ্গে নীতীশকে শিখিয়ে দিলেন নাচের নতুন স্টেপ।
নীতীশ প্রথমেই রিঙ্কুকে প্রশ্ন করেন, “একই ভাবে ম্যাচ শেষ করলে তুমি। বুকে ধুকপুকানি হয়নি? নিজের উপর বিশ্বাস ছিল আগের মতোই?” রিঙ্কুর উত্তর, “সকাল থেকেই আমার মনে হচ্ছিল আজ ম্যাচ জিতব এবং আমি রানও পাব। ঠিক করেছিলাম বলটা মিস্ করলে কিপারের হাতে যাবে। সেই ফাঁকে এক রান নিয়ে নেব। তা হলে টাই হয়ে যেত। তাই এটাও ভেবে রেখেছিলাম, বল যেমন আসবে তেমন খেলব। পাঁচ ছক্কার মারার সময়েও মানসিকতা একই রকম ছিল।”
নীতীশের পরের প্রশ্ন, “আগের ম্যাচে না হয় বুঝলাম স্কোরবোর্ড দেখোনি বলে চাপ ছিল না। কিন্তু আজ তো নিশ্চয়ই চাপ ছিল? কারণ মরণবাঁচন ম্যাচ ছিল এবং তুমি স্কোরবোর্ডের দিকেও তাকিয়েছিলে।” হাসতে হাসতে রিঙ্কুর উত্তর, “একটু তো চাপ সব ম্যাচেই থাকবে। কিন্তু নেটেও আমরা এ ধরনের পরিস্থিতি ভেবে অনুশীলন করি। সে ভাবেই পরিকল্পনা করেছিলাম।”
এর পরেই নীতীশের প্রশ্ন, ইডেনের দর্শকদের মুখে ‘রাসেল, রাসেল’ ধ্বনি যে ভাবে ‘রিঙ্কু, রিঙ্কু’ হয়ে গেল, তা শুনে কেমন লাগছে? এই প্রশ্নে রিঙ্কুর উত্তর, “এ বছর অনেক ভালবাসা পেয়েছি সমর্থকদের থেকে। আজও মাঝে মাঝে অনেকে ‘রিঙ্কু, রিঙ্কু’ বলে চিৎকার করে শুনতে পেয়েছি। কিন্তু চাপে পড়িনি।”
এর পরেই নীতীশকে বিশেষ ধরনের একটি নাচ শিখিয়ে দেন রিঙ্কু। হাত তুলে ঘুরিয়ে বিশেষ কায়দায় উচ্ছ্বাসের ভঙ্গি ছিল সেটি।