কেন বোলারের হাত থেকে বল কাড়লেন আম্পায়ার? ছবি: আইপিএল
বোলার দিব্যি সুস্থ। বলও করছিলেন স্বাভাবিক ছন্দেই। তবু চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে পুরো বল করতে দেওয়া হল না হর্ষল পটেলকে। দু’বল করার পরেই তাঁকে আর বল করতে বারণ করে দেন আম্পায়াররা। বাকি চারটি বল অন্য বোলারকে করতে হল। সোমবার চেন্নাই বনাম বেঙ্গালুরু ম্যাচে এই ঘটনা ঘটেছে।
আসলে ক্রিকেটের একটি নিয়মই এর পিছনে রয়েছে। হর্ষল এক ওভারে দু’টি কোমরের বেশি উচ্চতায় বল করে ফেলেছিলেন। দু’টি বলই ‘নো’ হয়েছে। ক্রিকেটের নিয়মানুযায়ী এক ওভারে কোনও বোলার দু’বার কোমর সমান বা তাঁর বেশি উচ্চতায় সরাসরি বল করলে তাঁকে আর বল করতে দেওয়া হয় না। নিয়ম মেনেই আম্পায়াররা আরসিবি-র আপৎকালীন অধিনায়ক গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে অনুরোধ করেন হর্ষলকে আর বল না দেওয়ার জন্যে। ম্যাক্সওয়েল নিজেই বাকি চারটি বল করার সিদ্ধান্ত নেন।
চেন্নাইয়ের ইনিংসে শেষ ওভার বল করতে এসেছিলেন হর্ষল। প্রথম বলটি ঠিকই ছিল। দ্বিতীয় বলেই কোমরের বেশি উচ্চতায় বল করেন। আম্পায়ার সঙ্গে সঙ্গে নো ডাকেন। বেঙ্গালুরু রিভিউ নিলেও লাভ হয়নি। পরের বলটি লেগ বাই হয়। তৃতীয় বলে ওয়াইড করেন হর্ষল। তার পরের বলটি আবার কোমরের বেশি উচ্চতায়। এ বার আম্পায়ার শুরুতে নো বল ডাকেননি। কিন্তু চেন্নাইয়ের মইন আলি রিভিউ চাওয়ায় সেটি নো বল দেন তৃতীয় আম্পায়ার। এর পরে মাঠে থাকা আম্পায়াররা হর্ষলকে তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেন, যা মেনে নেন ম্যাক্সওয়েল।