দীনেশ কার্তিক। —ফাইল চিত্র।
গত মরসুমে রান পাননি। তাই ২০২৪ সালের আইপিএলে রানে ফিরতে মরিয়া ছিলেন দীনেশ কার্তিক। ২০০-র উপর স্ট্রাইক রেট রেখে খেলছেন তিনি। ৮ ম্যাচে ২৬২ রান করেছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কার্তিক। তাঁর খেলা দেখে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা প্রশ্ন করেছিলেন, কার্তিক বিশ্বকাপ খেলতে ইচ্ছুক কি না? কার্তিকের এই বদল কী ভাবে?
২০২৩ সালের আইপিএলে ১৩ ম্যাচে মাত্র ১৪০ রান করেছিলেন কার্তিক। এ বারের আইপিএলে সেখানে দু’টি অর্ধশতরান করে ফেলেছেন। ১৯টি ছক্কা মেরেছেন। বেঙ্গালুরুকে বেশ কিছু ম্যাচে জেতানোর আশা দেখিয়েছিলেন তিনি। যদিও জেতাতে পারেননি। কার্তিক বলেন, “গত বছরটা আমার ভাল যায়নি। এই বছর তাই অনেক পরিকল্পনা করেছি। কোন বোলার কেমন বল করতে পারে, সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছি। আমি এক বার ব্যর্থ হলে এ ভাবেই ফিরে আসার চেষ্টা করি।”
২০২২ সালের আইপিএলে ফিনিশার হসিয়াবে দুর্দান্ত ব্যাট করেছিলেন কার্তিক। জায়গা করে নিয়েছিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে। এ বছরও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ রয়েছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচে কার্তিকের আগ্রাসী ব্যাটিং দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘শাবাশ ডিকে! টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল নির্বাচনের সময় ওর কথা তুলতেই হবে। মনে হচ্ছে ওর মাথায় বিশ্বকাপ ঘুরছে।’’ বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে কার্তিক বলেছেন, ‘‘এই বয়সে আবার ভারতের হয়ে খেলার সুযোগের থেকে ভাল কিছু হতে পারে না। অবশ্যই আমি দেশের হয়ে খেলতে আগ্রহী। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার থেকে বড় আমার জীবনে কিছু হতে পারে না।’’
কার্তিক জানেন লড়াই কঠিন। ঋষভ পন্থ, লোকেশ রাহুল, সঞ্জু স্যামসন, ঈশান কিশনের মতো ক্রিকেটারদের সঙ্গে লড়াই করতে হবে দলে জায়গা পাওয়ার জন্য। তবু আশাবাদী কেকেআরের প্রাক্তন অধিনায়ক। কার্তিক বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপের জন্য ভারতের সেরা দল বেছে নেওয়ার দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকে অত্যন্ত সততার সঙ্গে কাজ করেন। অধিনায়ক রোহিত, কোচ দ্রাবিড় বা প্রধান নির্বাচক আগরকরের উপর আমার আস্থা রয়েছে। তাঁরা যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাই শ্রদ্ধার সঙ্গে মেনে নেব। আমি শুধু বলতে পারি, দেশের হয়ে খেলার জন্য আমি সব সময় ১০০ শতাংশ তৈরি। বিশ্বকাপের বিমানে উঠব কিনা, সেই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ তাঁদের।’’