সন্ধ্যার খেলায় শিশিরের জেরে বল করতে সমস্যা হচ্ছিল। রবি এক জন রিস্ট স্পিনার (কব্জির মোচরে যাঁরা বল করেন)। তাঁর পক্ষে বল করতে আরও বেশি সমস্যা হওয়ার কথা। কিন্তু সেটা দেখা গেল না। যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে বল করলেন তিনি। তাই লখনউ ম্যাচ হারলেও রবিকেই ম্যাচের সেরা বেছে নিল আনন্দবাজার অনলাইন।
রায়ডুকে আউট করে উল্লাস রবির ছবি: আইপিএল।
যে ম্যাচে ব্যাটাররা দাপট দেখালেন, ২০০-র বেশি রান তুলল চেন্নাই সুপার কিংস, সেই ম্যাচে বল হাতে উজ্জ্বল হয়ে উঠলেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের স্পিনার রবি বিষ্ণোই। নিজের ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন তিনি। সেই সঙ্গে করলেন গুরুত্বপূর্ণ রান আউট। তাই আনন্দবাজার অনলাইনের বিচারে ম্যাচের সেরা রবি।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বড় শট খেলা শুরু করেছিলেন চেন্নাইয়ের ওপেনার রবিন উথাপ্পা। কোনও বোলারকেই রেয়াত করছিলেন না তিনি। প্রতি ওভারে ১০-এর বেশি গড়ে রান উঠছিল। সেখানে প্রথম ধাক্কা দেন রবি। কিন্তু বল হাতে নয়। ফিল্ডার হিসাবে। রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের পায়ে লেগে বল যায় শর্ট থার্ডম্যান অঞ্চলে। সেখানে ফিল্ডিং করছিলেন রবি। রান নেওয়ার চেষ্টা করেন রুতুরাজ। তাঁকে ফেরত পাঠান উথাপ্পা। কিন্তু তিনি ক্রিজে ঢোকার আগেই সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট করে দেন রবি।
তার পরে বল হাতে দাপট দেখালেন রবি। যেখানে বেশির ভাগ বোলার ওভার প্রতি ১০-এর বেশি বা কাছাকাছি রান দিলেন সেখানে রবির বলে সে রকম বড় শট মারতে পারলেন না চেন্নাইয়ের ব্যাটাররা। ভয়ঙ্কর দেখানো উথাপ্পাকে ৫০ রানের মাথায় আউট করেন তিনি। পরে রায়ডুকেও ২৭ রানের মাথায় বোল্ড করেন রবি। নিজের ৪ ওভারে কোনও অতিরিক্ত রান দেননি তিনি। চেন্নাই ২১১ রান করলেও একমাত্র রবির সামনেই চুপ থাকল ব্যাট। তিনি না থাকলে আরও অনেক বেশি রান হত সিএসকে-র।
সন্ধ্যার খেলায় শিশিরের জেরে বল করতে সমস্যা হচ্ছিল। রবি এক জন রিস্ট স্পিনার (কব্জির মোচরে যাঁরা বল করেন)। তাঁর পক্ষে বল করতে আরও বেশি সমস্যা হওয়ার কথা। কিন্তু সেটা দেখা গেল না। যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে বল করলেন তিনি। চেন্নাই দুশোর উপরে রান তুলেছিল ঠিকই। কিন্তু রবির বোলিংয়ে দাঁত ফোটাতে পারেনি তারা। সঙ্গত কারণেই রবিকে ম্যাচের সেরা বেছে নিল আনন্দবাজার অনলাইন।