মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে শতরান করলেন রাজস্থান রয়্যালসের যশস্বী জয়সওয়াল। ছবি: আইপিএল
আগের ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিলেন, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে সেখান থেকেই শুরু করলেন যশস্বী জয়সওয়াল। দুরন্ত শতরান করলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে বাকিরা কেউ সাহায্য করতে পারলেন না। নইলে ওয়াংখেড়েতে আরও বেশি রান করতে পারত রাজস্থান রয়্যালস। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২১২ রান করল রাজস্থান। যশস্বী ৬২ বলে ১২৪ রান করলেন। অর্থাৎ, আইপিএলের ১০০০তম ম্যাচ জিততে হলে ২১৩ রান করতে হবে রোহিত শর্মার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। যশস্বী প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন। কিন্তু অপর প্রান্তে থাকা জস বাটলার ছন্দে ছিলেন না। তার ফলে রান তোলার পুরো দায়িত্ব গিয়ে পড়ে যশস্বীর কাঁধে। তিনি অবশ্য নিজের দায়িত্ব ভাল ভাবে পালন করছিলেন। তাঁর ব্যাটে ভর করে এগোচ্ছিল রাজস্থানের ইনিংস।
পাওয়ার প্লে-তে উইকেট না পড়লেও অষ্টম ওভারে বাটলারকে আউট করেন পীযূষ চাওলা। ১৮ রান করেন গত মরসুমের কমলা টুপির মালিক। তার মধ্যেই মাত্র ৩১ বলে নিজের অর্ধশতরান করেন যশস্বী।
অন্য প্রান্তে নিয়মিত উইকেট পড়ছিল। আরও একটি ম্যাচে ব্যর্থ সঞ্জু। দেবদত্ত পড়িক্কল, জেসন হোল্ডার, শিমরন হেটমায়ার— কেউ রান পাননি। ফলে একা লড়াই করতে হচ্ছিল যশস্বীকে।
দেখে মনে হচ্ছিল, বাকি সব ব্যাটার এক পিচে খেলছেন আর যশস্বী অন্য পিচে। ধীরে ধীরে নিজের শতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন বাঁ হাতি ওপেনার। রাইলি মেরিডিথকে পর পর তিন বলে একটি ছক্কা ও দু’টি চার মেরে মাত্র ৫৩ বলে নিজের শতরান করলেন যশস্বী। আইপিএলে এটিই তাঁর প্রথম শতরান।
তার পরেও ব্যাট চলতে তাকে যশস্বীর। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কোনও বোলারকে রেয়াত করেননি তিনি। শেষ ওভারে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন যশস্বী। ২১২ রানে শেষ হয় রাজস্থানের ইনিংস।