ভাল বল করল কোহলির বেঙ্গালুরু। ছবি: আইপিএল
বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাউন্ডারি ছোট হওয়ায় প্রচুর রান ওঠে। স্বাভাবিক ভাবেই টসে জিতে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি। বেঙ্গালুরুর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সৌজন্যে ১৭৬/৬ রানেই আটকে গেল পঞ্জাব। বিরাট কোহলিদের জিততে গেলে তুলতে হবে ১৭৭ রান। বেঙ্গালুরুর মাঠের নিরিখে যা কঠিন কাজ নয়। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভুগল পঞ্জাব।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে পঞ্জাবের শুরুটা ভাল হয়নি। ৬ বলে ৮ রান করে ফিরে যান জনি বেয়ারস্টো। তবে দ্বিতীয় উইকটে লম্বা জুটি হয়। প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিয়ে পঞ্জাবের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন শিখর ধাওয়ান এবং প্রভসিমরন সিংহ। দু’জনে মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৫ রানের জুটি গড়েন।
চারে নেমে শুরুটা ভাল করেছিলেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ইংরেজ ব্যাটারের বড় শট খেলার দক্ষতা রয়েছে। তবে আলজারি জোসেফের বলে উইকেটকিপার অনুজ রাওয়াতের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন ১৩ বলে ১৭ রান করে। পরের বলেই ধাওয়ানকে হারায় পঞ্জাব। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে তুলে মারতে গিয়ে কোহলির হাতে ক্যাচ দেন পঞ্জাবের অধিনায়ক। ৩৭ বলে ৪৫ রান করেন তিনি।
আর এক মারকুটে ইংরেজ ব্যাটার স্যাম কারেনও প্রত্যাশার দাম দিতে পারেননি। তিনি তিনটি চারের সাহায্যে ১৭ বলে ২৩ রান করেন। মায়াঙ্ক ডাগারকে পর পর দু’টি ছয় মেরে জিতেশ শর্মা শুরুটা ভাল করেছিলেন। তবে সেই ছন্দ পরের দিকে ধরে রাখতে না পেরে আউট হন। শেষ দিকে একটি চার এবং দু’টি ছয়ের সাহায্যে শশাঙ্ক সিংহ ৮ বলে ২১ রান না করলে এত দূর আসতেই পারত না পঞ্জাব। বেঙ্গালুরুর হয়ে দু’টি করে উইকেট মহম্মদ সিরাজ এবং ম্যাক্সওয়েলের।