সুনীল নারাইন। — ফাইল চিত্র।
ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে জয়ে পঞ্জাব কিংসের নায়ক জনি বেয়ারস্টো। ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের ৪৮ বলে ১০৮ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদে জয় তুলে নিয়েছে পঞ্জাব। ২৬১ রান করেও হারতে হয়েছে শ্রেয়স আয়ারদের। তেমন ফর্মে না থাকা বেয়ারস্টো কী ভাবে সফল হলেন ইডেনের ২২ গজে? তিনি নিজেই জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা। পথ দেখানোর জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন কেকেআর অলরাউন্ডার সুনীল নারাইনকে। জয়ের কৃতিত্ব দিয়েছেন এক সতীর্থকে।
২০ ওভারে ২৬২ রান তাড়া করতে নেমে বেয়ারস্টোর লক্ষ্য ছিল সাহসী ব্যাটিং করা। পাওয়ার প্লেতে (প্রথম ৬ ওভার) যত বেশি সম্ভব রান তোলাই ছিল ইংরেজ ক্রিকেটারের লক্ষ্য। কেকেআরের বিরুদ্ধে জয়ের পর বেয়ারস্টো বলেছেন, ‘‘আমরা একটা ভাল শুরু চেয়েছিলাম। বড় লক্ষ্য তাড়া করার জন্য সেটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। নারাইনকে ধন্যবাদ দেব। পাওয়ার প্লেতে কী ভাবে ব্যাটিং করা উচিত, ও সেটা আমাদের হাতেকলমে দেখিয়ে দিয়েছিল। বুঝে গিয়েছিলাম, পাওয়ার প্লেতে সর্বাত্মক আগ্রাসী হতেই হবে। কারণ ঝুঁকি নেওয়া ছাড়া আমাদের কোনও উপায় ছিল না। ২০০ বেশি রান তাড়া করতে হলে পাওয়ার প্লেতে ঝুঁকি না নিলে সম্ভব নয়।’’
এত দিন রান পাচ্ছিলেন না। ইডেনে ওপেন করতে নেমে এমন ইনিংস? বেয়ারস্টো হাসতে হাসতে বলেছেন, ‘‘যতটা জোরে সম্ভব বল মারার চেষ্টা করেছি। ঠিক করে নিয়েছিলাম, নিজের পছন্দের জায়গায় বল পেলে মারবই। তাতে আউট হয়ে গেলেও আক্ষেপ থাকত না। এমন ম্যাচ জেতার জন্য সব রকম চেষ্টা তো করতেই হয়।’’
বেয়ারস্টো প্রশংসা করেছেন সতীর্থ শশাঙ্ক সিংহের ২৮ বলে ৬৮ রানের অপরাজিত ইনিংসেরও। তিনি বলেছেন, ‘‘শশাঙ্ক সব ম্যাচেই এ ভাবে ব্যাট করছে। ও এক জন বিশেষ খেলোয়াড়। দারুণ ছেলে। ওর মতো কাউকে ২২ গজে সঙ্গী হিসাবে পাওয়া দারুণ অভিজ্ঞতা। বয়স কম হলেও অভিজ্ঞতা যথেষ্ট। সে দিক থেকে শশাঙ্ককে তরুণ বলা যাবে না। মাথা ঠান্ডা রেখে খেলতে পারে। জয়টা সহজ করে দেওয়ার কৃতিত্ব সম্পূর্ণ ওর।’’
শুক্রবার কেকেআরের বিরুদ্ধে জয়, পঞ্জাবকে আইপিএলের প্লেঅফ পর্বের দৌড়ে টিকিয়ে রাখল। ন’টি ম্যাচ খেলে তৃতীয় জয় পেল তারা। পরের ম্যাচগুলি জিততে পারলে শেষ চারে জায়গা করে নিতে পারেন শিখর ধাওয়ানেরা।