IPL 2022

IPL 2022: ম্যাচের পর ধোনির ক্লাস: সেরা নেতার কাছে শিখুন নেতৃত্ব

এ বারের আইপিএলের আগে চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়কত্ব ছাড়ার পরে ফের দলের হাল ধরেছেন ধোনি। আর অধিনায়কত্বে ফিরেই দলকে জিতিয়েছেন। ব্যাটে রান না থাকলেও এক জন অধিনায়ক কী ভাবে ম্যাচ নিজের পকেটে পুরতে পারেন তা আরও এক বার দেখিয়েছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২২ ১১:২০
Share:

কী ভাবে নেতৃত্ব দিতে হয়, জানালেন ধোনি গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

নেতৃত্ব কি চামচে করে খাইয়ে দেওয়া যায়? নেতা হতে গেলে কী কী সহজাত গুণ থাকতে হয়, ক্রিকেটের প্রতি কী ধরনের মনোভাব রাখতে হয় তা ঝরে পড়ছিল তাঁর কথায়। তিনি মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। এ বারের আইপিএলের আগে চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়কত্ব ছাড়ার পরে ফের দলের হাল ধরেছেন। আর অধিনায়কত্বে ফিরেই দলকে জিতিয়েছেন। ব্যাটে রান না থাকলেও এক জন অধিনায়ক কী ভাবে ম্যাচ নিজের পকেটে পুরতে পারেন তা আরও এক বার দেখিয়েছেন তিনি। আর ম্যাচ শেষে শিখিয়েছেন নেতৃত্বের মন্ত্র।
ধোনির কথায় এসেছে রবীন্দ্র জাডেজার প্রসঙ্গ। কী ভাবে জাডেজাকে নেতৃত্বের ব্যাটন তুলে দিয়েছিলেন। কেন আবার সেই দায়িত্ব নিলেন। সব কিছু বিশদে বললেন তিনি। সেই সঙ্গে ম্যাচের সময় বোলারদের কী পরামর্শ দিয়েছিলেন, দলের কোথায় উন্নতি প্রয়োজন সে প্রসঙ্গও উঠে এল ধোনির কথায়।

Advertisement

এক নজরে ধোনির ক্লাস:

  • এই মরসুমের আগেই আমি জানিয়ে দিয়েছিলাম আর অধিনায়ক থাকব না। জাডেজা জানত ওকে দায়িত্ব নিতে হবে। তাই মানসিক ভাবে নিজেকে তৈরি করার সময় ও পেয়েছিল। হঠাৎ করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
Advertisement
  • জাডেজা প্রথম বার অধিনায়কের দায়িত্ব সামলাচ্ছিল। তাই প্রথম কয়েকটা ম্যাচে ওকে পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু তার পরে ওকে বলেছিলাম সব সিদ্ধান্ত ওকেই নিতে হবে। কখনও যেন মনে না হয় এক জন টস করতে যাচ্ছে আর অন্য জন অধিনায়কত্ব করছে। অধিনায়কত্ব চামচে করে খাইয়ে দেওয়া যায় না। একটা সময় পর্যন্ত সাহায্য করা যায়। তার পরে নিজেকেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
  • জাডেজার খেলা খারাপ হচ্ছিল। ওর মাথায় সারা ক্ষণ অধিনায়কত্ব ঘুরছিল। তার প্রভাব খেলায় পড়ছিল। অধিনায়ক জাডেজার থেকে ব্যাটার, বোলার ও ফিল্ডার জাডেজার সিএসকেকে দরকার। তাই আমি ফের দায়িত্ব নিয়েছি। কারণ এই তিন ক্ষেত্রে জাডেজা নিজের সেরাটা দিতে পারলে সেটা আমাদের অনেক বেশি উপকারে লাগবে।
  • নেতৃত্বে বদল হওয়া মানেই সব কিছুতে বদল নয়। কারণ সাজঘরে একই ক্রিকেটাররা থাকে। তারা একসঙ্গে দীর্ঘ দিন খেলছে। তাই আমি খুব বেশি কিছু বদল করতে চাইনি। ব্যাটাররা আমাদের কাজ অনেক সহজ করে দিয়েছে। ২০০-র উপর রান তুললে কাজটা সহজ হয়। বাকিটা আমাদের বোলাররা করেছে।
  • বোলারদের বলেছিলাম এক ওভারে চারটে ছক্কা খেলেও হতাশ না হতে। যদি বাকি দু’টো বল ভাল করতে পার তা হলে দিনের শেষে সেই দু’টো বলই আমাদের ম্যাচ জেতাবে। আমি মনে করি বেশি রান তাড়া করতে নেমে প্রতিপক্ষ বড় শট খেলবেই। তাতে হতাশ না হয়ে একটা-দু’টো ভাল বল করার চেষ্টা করতে হবে। ওই বলগুলো শেষ দিকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। আমি এ ভাবেই ভাবি।
  • প্রতিযোগিতায় এখনও পর্যন্ত ১৮-১৯টা ক্যাচ ছেড়েছি। আজও ক্যাচ ফস্কেছে। ফিল্ডিংয়ে আরও উন্নতি করতে হবে দলকে। বড় প্রতিযোগিতায় ফিল্ডিং অনেক পার্থক্য গড়ে দেয়। সে দিকে আমাদের নজর দিতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement