গুরুতর চোট থেকে ফিরে আইপিএলে নজর কাড়ছেন মহসিন। ছবি: এএফপি
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে লখনউ সুপার জায়ান্টসের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন মহসিন খান। শেষ ওভারে তাঁর অনবদ্য বোলিং রোহিত শর্মাদের জয়ের আশা শেষ করে দেয়। হাতে ৫ উইকেট থাকলেও প্রয়োজনীয় ১১ রান তুলতে পারেননি মুম্বইয়ের ব্যাটাররা। গুরুত্বপূর্ণ শেষ ওভারে মহসিন খরচ করেন মাত্র ৫ রান। অথচ সময় মতো চিকিৎসা শুরু না হলে আইপিএল খেলাই হত না মহসিনের।
ক্রিকেটজীবনও শেষ হয়ে যেতে পারত মহসিনের। চিকিৎসা শুরু করতে আর কিছু দিন দেরি হলে কেটে ফেলতে হত তাঁর বাঁ হাত। মুম্বইকে হারানোর পর জীবনের এমনই কঠিন সময়ের গল্প শুনিয়েছেন মহসিন। পুরো সুস্থ হতে না পারায় এ বারের আইপিএলের প্রথম দিকে লখনউয়ের হয়ে খেলতে পারেননি বাঁহাতি জোরে বোলার। খেলতে গিয়েই গুরুতর চোট পেয়েছিলেন। তাঁর বাঁ কাঁধে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল। সুস্থ হওয়ার জন্য অস্ত্রোপচার করাতে হয়।
মহসিন বলেছেন, ‘‘আশা করব আমার মতো চোট কোনও ক্রিকেটার পাবে না। আঘাত লেগে আমার ধমনীতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমার হাতের স্নায়ু সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে গিয়েছিল। সেই কঠিন সময়ে ক্রিকেট সংস্থা, গৌতম গম্ভীর স্যর, রাজীব শুক্লা স্যর, লখনউ ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি, সঞ্জীব গোয়েঙ্কা স্যর এবং পরিবারের সকলের কাছ থেকে অনেক সাহায্য পেয়েছি।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘সুস্থ হওয়ার জন্য অস্ত্রোপচারের আগে এবং পরে আমাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে। খুব কঠিন ছিল বিষয়টা। ভাবিনি আবার কখনও ক্রিকেট খেলতে পারব। আমি হাত তুলতে পারতাম না। হাত পুরো সোজাও করতে পারতাম না।’’
কঠিন সময়ের পর আবার ক্রিকেটে ফিরে আসতে পেরে খুশি ২৪ বছরের জোরে বোলার। একটা সময় তাঁর দিন কাটত আতঙ্কে। মহসিন বলেছেন, ‘‘বিষয়টা ছিল চিকিৎসা সংক্রান্ত। এখনও ভাবলে বেশ ভয় করে। চিকিৎসক আমাকে জানিয়েছিলেন, আর মাস খানেক দেরি হলে আমার বাঁ হাতটাই কেটে ফেলতে হত।’’
২০২২ সালের আইপিএলে লখনউয়ের হয়ে ন’টি ম্যাচ খেলে ১৪টি উইকেট নিয়েছিলেন মহসিন। এ বারের প্রতিযোগিতায় খেলেছেন তিনটি ম্যাচ। মঙ্গলবারের ম্যাচের পর তিনি এখন লখনউ শিবিরের নতুন নায়ক।