আইপিএল ট্রফি নিয়ে উল্লাস কেকেআরের ক্রিকেটারদের। ছবি: আইপিএল।
আইপিএল ফাইনালে মিচেল স্টার্কের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলটি পড়ল গুড লেংথে। মিডল স্টাম্প থেকে বলটি হাওয়ায় সামান্য বাইরের দিকে কাটল। তার পর অভিষেক শর্মার অফ স্টাম্পে লেগে বেরিয়ে গেল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বোল্ড হয়ে গেলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ওপেনার। স্টার্কের সেই ডেলিভারিটিই কি চলতি আইপিএলের সেরা বল? তেমনটাই মনে করছেন দুই বিশেষজ্ঞ ম্যাথু হেডেন ও কেভিন পিটারসেন।
চলতি আইপিএল মোট ৭৪টি ম্যাচের মধ্যে ৭১টি ম্যাচে খেলা হয়েছে। বাকি তিনটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছে। ৭১টি ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ১৬,৩০০টি ডেলিভারি হয়েছে। ওয়াইড ও নো বল হিসাব করা হয়নি। সেই ১৬,৩০০টি ডেলিভারির মধ্যে ফাইনালে করা স্টার্কের ডেলিভারিকেই সেরা মনে করছেন হেডেন ও পিটারসেন।
আইপিএলে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় ছিলেন হেডেন ও পিটারসেন। ফাইনাল শেষে সম্প্রচারকারী চ্যানেলে হেডেন বলেন, “যে মুহূর্তে বলটা স্টার্কের হাত থেকে বেরিয়েছিল, সেখানেই খেলার ভাগ্য স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ওটাই আইপিএলের সেরা ডেলিভারি। ওই সময় ওই রকম বল করা মুখের কথা নয়।”
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার পিটারসেনও হেডেনের সুরেই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “গোটা আইপিএল জুড়ে ১৩৬-১৩৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বল করছিল স্টার্ক। কিন্তু গত দুই সপ্তাহে ওর গতি বেড়েছে। ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করেছে স্টার্ক। ফাইনালে অভিষেককে যে বলটায় ও বোল্ড করল সেটা এ বারের সেরা ডেলিভারি। ওখান থেকে যে বল বাইরের দিকে যাবে সেটা ভাবতেই পারেনি অভিষেক।”
স্টার্কের ডেলিভারিটি ভাল ভাবে দেখলে বোঝা যাবে, পুরোটাই পরিকল্পনার ফসল। আগের কয়েকটি ডেলিভারিতে আউট সুইং করাচ্ছিলেন স্টার্ক। সেই বলগুলি অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে আরও বাইরের দিকে যাচ্ছিল। তাই অভিষেকের মাথায় চলছিল যে একটি বল ভিতরে ঢুকবে। আগের ম্যাচে ট্রেভিস হেডের উইকেট ভিতরের দিকে ঢুকে আসা বলেই নিয়েছিলেন স্টার্ক। পঞ্চম বলটি মিডল স্টাম্পে পড়তেই অভিষেক ভাবেন তা ভিতরের দিকে ঢুকবে। ইনসুইং হিসাবে খেলার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু বলের সিম পজিশন ছিল স্লিপের দিকে। অর্থাৎ, সেখান থেকে বল বাইরের দিকে যেত। সেটাই হয়। অভিষেক বুঝতে পারেননি। বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।