হায়দরাবাদকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল লখনউ। ছবি: আইপিএল।
আইপিএলের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে জিততেই হত সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে। কিন্তু নিজেদের মাঠে প্রথমে ব্যাট করেও ২ পয়েন্ট ঘরে তুলতে পারলেন না এডেন মার্করামরা। ক্রুণাল পাণ্ড্যদের কাছে ৭ উইকেটে হেরে প্রতিযোগিতার প্লে-অফে যাওয়ার আশা শেষ হয়ে গেল হায়দরাবাদের।
লখনউয়ের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৮২ রান তুলল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তেমন বড় রান কেউ না পেলেও ক্রুণাল পাণ্ড্যদের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো জায়গায় দলকে পৌঁছে দিল হেনরিখ ক্লাসেন এবং আবদুল সামাদের আগ্রাসী ইনিংস।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক মার্করাম। শুরুটা ভাল হয়নি আয়োজকদের। ওপেনার অভিষেক শর্মা (৭) দ্রুত আউট হয়ে যান। দলকে ভরসা দিতে পারলেন না তিন নম্বরে নামা রাহুল ত্রিপাঠীও (১৩ বলে ২০)। অন্য ওপেনার অনমলপ্রীত সিংহ করলেন ২৭ বলে ৩৬ রান। দ্রুত আউট হলেন মার্করামও। হায়দরাবাদ অধিনায়কের ব্যাট থেকে এল ২০ বলে ২৮ রানের ইনিংস। ধারাবাহিক ব্যবধানে উইকেট হারাল হায়দরাবাদ। ফলে মার্করামরা কখনওই রান তোলার গতি বাড়াতে পারেননি।
হায়দরাবাদকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেয় মূলত ক্লাসেনের ইনিংস। তিনি ২৯ বলে ৪৭ রান করলেন। তিনটি করে চার এবং ছয় এল তাঁর ব্যাট থেকে। পরের দিকে রান তোলার গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন সামাদ। ২৫ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকলেন তিনি। ১টি চার এবং ৪টি ছয় মারলেন তিনি। ইনিংসের শেষ দিকে সামাদ দাপুটে ইনিংস খেলতে না পারলে ঘরের মাঠে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আরও চাপে থাকত হায়দরাবাদ।
লখনউয়ের সফলতম বোলার অধিনায়ক ক্রুণাল। তিনি ২৪ রানে ২ উইকেট নিলেন। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন যুধবীর সিংহ, আবেশ খান, যশ ঠাকুর এবং অমিত মিশ্র।
জয়ের জন্য ১৮৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে জবাবে প্রথম থেকেই আগ্রাসী মেজাজে শুরু করেন লখনউয়ের ব্যাটাররা। বেমানান শুধু ওপেনার কাইল মেয়ার্স। তিনি ১৪ বল খেলে ২ রান করলেন শনিবার। ২২ গজের অন্য প্রান্তে সাবলীল ভাবেই ব্যাটিং করলেন কুইন্টন ডিকক, পেরাক মাঁকড়, মার্কাস স্টোইনিস, নিকোলাস পুরানরা। ওপেন করতে নেমে ডিকক করলেন ১৯ বলে ২৯ রান। মারলেন ৩টি চার এবং ১টি ছয়। লখনউয়ের ইনিংসের ভিত শক্ত করল পেরাকের ব্যাট। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন তিনি। চার নম্বরে নামা স্টোইনিসের অবদান ২৫ বলে ৪০ রান। ২টি চার এবং ৩টি ছয় এল তাঁর ব্যাট থেকে। পাঁচ নম্বরে পেরাকের সঙ্গে জুটি বেঁধে নেমে দলকে জয়ের দরজায় পৌঁছে দিলেন পুরান। পেরাক শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ৪৫ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলে। ৭টি চার এবং ২টি ছয় দিয়ে সাজালেন নিজের ইনিংস। বেশি আগ্রাসী ছিলেন পুরান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ব্যাটার অপরাজিত থাকলেন ১৩ বলে ৪৪ রান করে। ৩টি চার এবং ৪টি ছক্কা এল তাঁর ব্যাট থেকে। তাঁদের দাপটে ৪ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গেল লখনউ। ৩ উইকেটে ১৮৫ রান করলেন তাঁরা।
হায়দরাবাদের কোনও বোলারই লখনউয়ের ব্যাটারদের দাপট থামাতে পারলেন না। মার্করামের দলের সফলতম বোলার গ্রেন ফিলিপস ১০ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন। অথচ তাঁকে মাত্র ২ ওভার বল করালেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক। ১টি করে উইকেট অভিষেক শর্মা এবং ময়ঙ্ক মারকান্ডের।