উইকেট নিয়ে উচ্ছ্বাস শাহবাজ় আহমেদের। ছবি: বিসিসিআই।
আইপিএলের ফাইনালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। রবিবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি হবে তারা। পর পর সাত বার আইপিএলের ফাইনালে লিগ পর্বে এক এবং দুই নম্বরে থাকা দল। রাজস্থান রয়্যালসকে শুক্রবার ৩৬ রানে হারিয়ে ফাইনালে হায়দরাবাদ।
চেন্নাইয়ের মাঠে শিশির পড়ার আশঙ্কা করেছিলেন সঞ্জু স্যামসন। তাই টস জিতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে আগে ব্যাট করতে পাঠান তিনি। কিন্তু শুক্রবার শিশির পড়েনি। ফলে বল করতে অসুবিধা হয়নি হায়দরাবাদের। তবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই তাদের ধাক্কা দিয়েছিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। বাঁহাতি পেসার বেশ বেকায়দায় ফেলে দিয়েছিলেন প্যাট কামিন্সদের।
প্রথম ওভারে ১৩ রান দিলেও বোল্ট তুলে নেন অভিষেক শর্মার উইকেট। নিজের তৃতীয় ওভারে বল করতে এসে তুলে নেন রাহুল ত্রিপাঠী এবং এডেন মার্করামের উইকেট। ৫ ওভারের মধ্যে ৩ উইকেট চলে যায় হায়দরাবাদের। কিন্তু তাদের আগ্রাসী ব্যাটিং রানের গতিকে কমতে দেয়নি। পাওয়ার প্লে-তে ৬৮ রান তুলে নেয় তারা। ১৫ বলে ৩৭ রান করেন ত্রিপাঠী। সেটাই হায়দরাবাদের রানের গতি কমতে দেয়নি।
এ বারের আইপিএলে হায়দরাবাদকে বার বার ম্যাচ জিতিয়েছেন ট্রেভিস হেড। কিন্তু চেন্নাইয়ে তাঁকে সে ভাবে ছড়ি ঘোরাতে দিলেন না রাজস্থানের বোলারেরা। ২৮ বলে ৩৪ রান করে আউট হেড। তাঁকে আউট করেন সন্দীপ শর্মা। তিনিই তুলে নেন হেনরিখ ক্লাসেনকে। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার ৩৪ বলে ৫০ রান করেন। তিনিই হায়দরাবাদকে লড়াই করার মতো রানের পুঁজি দেন।
প্রশংসা করতে হবে বাংলার অলরাউন্ডার শাহবাজ় আহমেদের। তাঁকে প্রথম একাদশে রাখেনি হায়দরাবাদ। কিন্তু ১৪ ওভারের মধ্যে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ায় তাঁকে নামিয়ে দেওয়া হয়। শাহবাজ় অলরাউন্ডার। স্পিন বোলিংটা যেমন করতে পারেন, তেমনই ব্যাট হাতে দলকে ভরসা দিতে পারেন। হায়দরাবাদের এই পরিকল্পনা কাজে লাগল। ১৮ বলে ১৮ রান করেন শাহবাজ়। তিনি একটি দিক আটকে রাখেন। উল্টো দিক থেকে বড় শট খেলেন ক্লাসেন। পর পর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া হায়দরাবাদের কাছে তাঁদের ৪৩ রানের ইনিংস খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়।
তবে শাহবাজ় আসল কাজটা করেন বল হাতে। ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে তুলে নেন ৩ উইকেট। যশস্বী জয়সওয়াল, রিয়ান পরাগ এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের উইকেট নেন শাহবাজ়। অন্য ব্যাটারেরাও তাঁর বলে খুব বেশি রান করতে পারেননি। শাহবাজ় তাঁর প্রথম ওভারেই তুলে নেন যশস্বীকে। সেটাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ১২তম ওভারে পরাগ এবং অশ্বিনের উইকেট তোলেন। এক ওভারে দু’টি উইকেট নিয়ে হায়দরাবাদকে জয়ের সরণিতে নিয়ে আসেন শাহবাজ়।
রাজস্থানের হয়ে লড়াই করেন ধ্রুব জুরেল। দলের বাকি ব্যাটারেরা না পারলেও তিনি শেষ পর্যন্ত লড়াই করলেন। যশস্বী ওপেন করতে নেমে ৪২ রান করেছিলেন। বাকি ব্যাটারেরা কেউ ২০ রানের গণ্ডি পার করতে পারেননি। সেখানে জুরেল ৩৫ বলে ৫৬ রান করেন। অপরাজিত থাকেন তিনি। কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি। হেরে আইপিএল থেকে বিদায় নিল রাজস্থান।