লোকেশ রাহুল সেরা হতে দিলেন না সোমবারের নায়ককে। —ফাইল চিত্র
বেঙ্গালুরুর দর্শকরা এসেছিলেন বিরাট কোহলিদের জয় দেখতে। সেই আশা পূরণ হয়নি। বিরাটদের বিপক্ষে খেলতে নামা নিকোলাস পুরানের দাপটে ম্যাচ জিতে নেয় লখনউ সুপার জায়ান্টস। মাত্র ১৫ বলে অর্ধশতরান করেন তিনি। একটুর জন্য রেকর্ড ছোঁয়া হল না পুরানের। আইপিএলের দ্রুততম ৫০ রান করার রেকর্ডটি ভাঙতে পারলেন না তিনি।
আইপিএলের ইতিহাসে সব থেকে কম বলে ৫০ রান করার রেকর্ড আছে লোকেশ রাহুল এবং প্যাট কামিন্সের। তাঁরা দু’জনেই ১৪ বলে অর্ধশতরান করেছিলেন। পুরান ১৩ বলে ৪৪ রান করেছিলেন। একটি ছক্কা মারলেই রেকর্ড করতে পারতেন তিনি। কিন্তু ওয়েন পার্নেলের বলে সেই কাজটা করতে পারেননি তিনি। একটি রান নেন ১৪তম বলটিতে। যদিও পরের ওভারেই কর্ণ শর্মার বলে ছক্কা মেরে ৫০ করেন পুরান। এক বল আগে ছক্কা মারতে পারলেই আইপিএলের রেকর্ডটি ছুঁয়ে ফেলতে পারতেন তিনি।
পুরানের আগে আইপিএলে আরও দুই ব্যাটার ১৫ বলে ৫০ করেছেন। তাঁরা হলেন ইউসুফ পাঠান এবং সুনীল নারাইন। তাঁদের সঙ্গেই দ্রুততম অর্ধশতরানের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে যোগ দিলেন পুরান।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
সোমবার ১৯ বলে ৬২ রান করেন পুরান। তিনি যখন আউট হন, তখনও দলের জয়ের জন্য ২৩ রান প্রয়োজন ছিল। মার্কাস স্টোইনিস ৩০ বলে ৬৫ রান করেন। আয়ুষ বাদোনি ২৪ বলে ৩০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। শেষ বলে ১ রান প্রয়োজন ছিল জয়ের জন্য। হাতে ছিল ১ উইকেট। এমন অবস্থায় আউট করতে পারলে ম্যাচ টাই হয়ে যেত। কিন্তু রান আউটের সুযোগ নষ্ট করেন কার্তিক। তাতেই ম্যাচ জিতে যায় লখনউ।
প্রথমে ব্যাট করে লখনউ ২১২ রান তোলে। এর মধ্যে বিরাট ৬১ রান করেন। ডুপ্লেসি করেন ৭৯ রান। তিন নম্বরে নেমে লখনউ সুপার জায়ান্টস করেন ২৯ বলে ৫৯ রান করেন। তাঁদের দাপটেই বড় রান তোলে বেঙ্গালুরু। কিন্তু তাতে ম্যাচ জেতা হল না তাদের।
লখনউ চার ম্যাচে তিনটি জিতে ছ’পয়েন্ট নিয়ে লিগের শীর্ষে উঠে এসেছে। বেঙ্গালুরু তিনটি ম্যাচের মধ্যে দু’টি হেরেছে। দু’পয়েন্ট নিয়ে তারা রয়েছে সপ্তম স্থানে। বেঙ্গালুরুর পরের ম্যাচ ১৫ এপ্রিল। দিল্লির বিরুদ্ধে খেলবে তারা। লখনউ খেলবে সে দিনই পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে।