ভুবনেশ্বর কুমার। —ফাইল চিত্র।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ মানেই প্রথমে ব্যাট করে বড় রান। লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল তাই টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তাঁদের ব্যাটিং ব্যর্থ হয়। বড় রান তুলতে পারলেন না রাহুলেরা। ১৬৫ রানে থেমে গেল তাঁদের ইনিংস। আয়ুষ বাদোনি না থাকলে হয়তো আরও কম রানে থেমে যেতে হত।
পাওয়ার প্লে-তেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় লখনউ। কুইন্টন ডিকক (২) এবং মার্কাস স্টোইনিস (৩) অল্প রানে আউট হয়ে যান। লোকেশ রাহুল এবং ক্রুণাল পাণ্ড্য একসঙ্গে ৫ ওভার ক্রিজ়ে থাকলেও বড় শট খেলতে পারেননি। রাহুল ৩৩ বলে ২৯ রান করেন। ক্রুণাল ২১ বলে ২৪ রান করেন। ১১.২ ওভারে লখনউ ৬৬ করেছিল। ৪ উইকেট চলে গিয়েছিল তাদের।
সেখান থেকে দলকে লড়াই করার মতো জায়গায় নিয়ে যান নিকোলাস পুরান এবং আয়ুষ বাদোনি। তাঁরা ৯৯ রানের জুটি গড়েন। বাদোনি ২৮ বলে অর্ধশতরান করেন। তাঁর ইনিংস শেষ হয় ৫৫ রানে। পুরান ২৬ বলে ৪৮ রান করেন। তাঁরা শেষ পর্যন্ত মাঠে ছিলেন।
হায়দরাবাদে পিচে বড় রান হচ্ছিল। কিন্তু বুধবার সেটা হল না। পিচ থেকে বোলারেরা যথেষ্ট সাহায্য পাচ্ছেন। ভুবনেশ্বর কুমার ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। বাংলার অলরাউন্ডার শাহবাজ় আহমেদ ২ ওভারে ৯ রান দেন। যদিও অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ৪ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন।
লখনউকে জিততে হলে ভাল বল করতে হবে। ব্যাটারদের ব্যর্থতা ঢেকে দিতে হবে রবি বিষ্ণোইদের। তবে ট্রেভিস হেড, অভিষেক শর্মারা যে আগ্রাসী ব্যাটিং করেন তাতে বিষ্ণোইদের কাজটা সহজ হবে না।